প্রবাসে থেকেও আমরা প্রথম আলোকে দেশের অহংকার হিসেবে মনে করি। গত দুই দশকে প্রথম আলো আমাদের নানাভাবে প্রভাবিত করেছে। প্রথম আলোকে আমরা শুধু একটি সংবাদপত্র নয়, তার চেয়েও কিছু বেশি হিসেবে দেখি। দেশ থেকে হাজার মাইল দূরে থেকেও আমরা প্রতিদিন প্রথম আলোর মাধ্যমে দেশকে দেখি। দেশের অগ্রযাত্রা, সাফল্য কিংবা সংকটের খবর আমরা প্রথম আলোর কাছ থেকেই পাই। আলোর পথে প্রথম আলো তার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে, এই প্রত্যাশা আমাদের।
প্রথম আলোর ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানাতে এসে নিউইয়র্কের লেখক-শুভানুধ্যায়ীরা এসব কথা বলেছেন। ৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে জ্যাকসন হাইটসে প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা অফিসে কেক কেটে পত্রিকাটির ২০ বছর পূর্তি পালন করা হয়।
‘প্রথম আলো পরিবার’ নামে নিউইয়র্কে মূলত উত্তর আমেরিকা সংস্করণের লেখকদের উদ্যোগে এই আয়োজন ছিল উৎসবমুখর, স্বতঃস্ফূর্ত। শুভেচ্ছা জানাতে অনেকেই আসেন লাল শাড়ি আর জামা পরে। ঢাকায় প্রথম আলোর এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে লাল রঙের আধিক্য ছিল। তার সঙ্গে সংহতি জানান নিউইয়র্কের লেখক-শুভানুধ্যায়ীরা।
প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার আবাসিক সম্পাদক ইব্রাহীম চৌধুরী সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, প্রথম আলো ‘ভালোর সাথে আলোর পথে’ স্লোগান নিয়ে এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করছে। নিউইয়র্কের এই আয়োজনে প্রবাসী অগ্রসরজনদের একাত্মতা আমাদের অনুপ্রাণিত করে। পাঠক, লেখক, বিজ্ঞাপনদাতা, পৃষ্ঠপোষকসহ সবার অব্যাহত সমর্থন আমাদের এগিয়ে চলতে সহায়তা করছে।
প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি হাসান ফেরদৌস উপস্থিত লেখকদের কাছে জানতে চান, প্রথম আলো উত্তর আমেরিকায় প্রকাশিত কোন লেখা কার ভালো লেগেছে, কেন ভালো লেগেছে। একে একে উপস্থিত সবাই তাঁদের ভালো লাগা লেখার কথা জানান। হাসান ফেরদৌস বলেন, প্রথম আলোর নিয়মিত লেখকেরা এই পত্রিকার শক্তি।
প্রবীণ সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, দেশের মতো প্রবাসেও (যুক্তরাষ্ট্র) প্রথম আলো পাঠকদের প্রিয় পত্রিকা হয়ে উঠেছে।
অনুষ্ঠানে প্রথম আলো পরিবারের ব্যানারে লেখক-শুভানুধ্যায়ীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাজি আবদুর রহমান, মাহবুবুর রহমান, শামস আল মমীন, ইশতিয়াক রূপু, রোমেনা লেইস, নাসরিন চৌধুরী, আদনান সৈয়দ, শেলী জামান খান, এইচ বি রিতা, পলি শাহীনা, স্মৃতি ভদ্র, মনিজা রহমান, কাজী জহিরুল ইসলাম, রিমি রুম্মান, উইলি মুক্তি, রওশন হক, শাহানা বেগম, মইনুল হীরা, মাকসুদা আহমেদ, বিলকিস রহমান দোলা, মুতাসিম বিল্লাহ তুষার, মিথিলা শারমিন প্রমুখ।
লেখকেরা তাঁদের শত ব্যস্ততার মধ্যেও বিকেলে প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার জ্যাকসন হাইটসের অফিসে শুভেচ্ছা জানাতে চলে আসেন। কেউ ফুলের তোড়া নিয়ে আসেন। কেউ আসেন খাবার নিয়ে।
প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক ও লেখক আনিসুল হকের মা মোসাম্মৎ আনোয়ারা বেগমের (৮০) মৃত্যুতে উপস্থিত সবাই শোক জানান। পাশাপাশি প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার নিয়মিত লেখক ভায়লা সালিনার বাবার সুস্থতা কামনা করা হয়।
আগত লেখক-শুভানুধ্যায়ীদের জন্য অনুষ্ঠানে চমক ছিল। উপস্থিত লেখক-শুভানুধ্যায়ীদের মধ্যে লটারি করা হয়। লটারিতে বিশিষ্ট ট্রাভেল এজেন্ট সিপারএয়ার সার্ভিসের সৌজন্যে একটি ট্যাব উপহার দেওয়া হয়। লটারিতে আরও অনেক উপহার ছিল। লটারির পর্বটি পরিচালনা করেন প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার সম্পাদকীয় বিভাগের আহমাদ মাযাহার। সহযোগিতায় ছিলেন হালিম আহমেদ, মনজুরুল হক, রওশনারা নিপা, আহম্মেদ হোসেন, সানজীদা উর্মি, মনিজা রহমান ও মিথিলা বাঁধন।
লটারিতে পুরস্কার হিসেবে ট্যাব পান আব্দুশ শহীদ। সিপারএয়ার সার্ভিসের পক্ষে এনআরবি নেতা ফকু চৌধুরী এই পুরস্কার তুলে দেন। ফকু চৌধুরী প্রথম আলোর লেখকদের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, সিপারএয়ার সার্ভিস প্রথম আলোকে ক্রমাগত সহযোগিতা করে যাবে।
প্রথম আলোর বর্ষপূর্তির নোটবুক পান মুক্তি জহির। প্রথম আলোর লোগোসহ রাইটিং প্যাড পান রানু ফেরদৌস, রোমেনা লেইস, নাসরিন চৌধুরী, এইচ বি রিতা, স্মৃতি ভদ্র, মুস্তাফিজ রহমান ও আরিফ মাহমুদ।
লেখকদের হাতে অন্য উপহারগুলো তুলে দেন লেখক-সাংবাদিক হাসান ফেরদৌস, সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান ও প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার বাণিজ্য বিভাগের প্রধান হালিম আহমেদ।
প্রথম আলোর ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কেক কাটেন সমবেত লেখক ও উত্তর আমেরিকা সংস্করণের কর্মীরা।