নিউইয়র্ক নগরীর পাতাল রেলের (সাবওয়ে) স্টেশনগুলোর মধ্যে পাঁচটিকে যাত্রী সাধারণের জন্য বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করেছে দি অটো ইনস্যুরেন্স সেন্টার।
দি অটো ইনস্যুরেন্স সেন্টারের তথ্য অনুসারে, সাবওয়েতে সংঘটিত অপরাধ দু রকমের। স্টেশন অভ্যন্তরে সংঘটিত অপরাধের চেয়ে সংলগ্ন এলাকায় ঘটা অপরাধের হার বেশি।
এ ক্ষেত্র শীর্ষে আছে আটলান্টিক অ্যাভিনিউ-বার্কলে সেন্টার; যেখানে ২০১৭ সালে ৩৩৪টি অপরাধ ঘটে। এখান থেকে ২,৩,৪ ও ৫ ট্রেনের যাত্রীরা নিয়মিত চলাচল করে। এর পরেই ৩৩০ টি অপরাধের ঘটনা নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ৪২ স্ট্রিটে অবস্থিত নগরীর বৃহত্তম বাস টার্মিনাল, পোর্ট অথোরিটি বাস টার্মিনাল। এখানে কমপক্ষে ১৫টি পাতাল রেলে চলাচলকারী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় থাকে। থার্ড অ্যাভিনিউর ১৪৯ স্ট্রিট স্টেশনে ২০১৭ সালে ঘটেছে ৩১১ টি অপরাধ। তালিকার ৩য় স্থানে আছে ব্রঙ্কসের এই স্টেশনটি। নগরীর ব্যস্ততম সাবওয়ে স্টেশন টাইম স্কোয়ারে প্রতিদিন লক্ষাধিক যাত্রী নানা লাইনের ট্রেনে চলাচল করেন। ২০১৭ সালে এই স্টেশনে মোট অপরাধ সংগঠিত হয় ২৬২টি। অবশ্য মোট অপরাধের প্রায় অর্ধেক অপরাধ সংগঠিত হয় স্টেশনের বাইরের দেয়াল ঘেঁষে। পাতাল রেলে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার দিক থেকে বেশি বিপজ্জনক স্টেশনগুলোর
মধ্যে ব্রুকলিনের জে স্ট্রিট-মেট্রো টেক স্টেশনে ২০১৭
সালে সংঘটিত হয় ২০৫টি অপরাধ। এর অধিকাংশই ঘটেছে স্টেশনের অভ্যন্তরে। ক্রমানুসারে এই স্টেশন সর্বশেষ স্থানে আছে।
বর্তমানে নিউইয়র্কের সমস্যাবহুল পাতাল রেলে নিয়মিত চলাচলকারীদের মতে, নগর জুড়ে জালের মতো বিস্তৃত সাবওয়ের স্টেশনগুলোতে যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।
তবে আশার কথা শোনালেন এনওয়াইপিডির ট্রানজিট পুলিশের এক মুখপাত্র। তিনি বললেন, নগরীর আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। উল্লিখিত স্টেশনগুলোতে পুলিশি টহল বাড়ানো হচ্ছে।