এনক্রিপ্টেড-মেসেজিং অ্যাপ সিগন্যালের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মক্সি মার্লিনস্পাইক পদত্যাগ করেছেন। বিবিসির খবরে বলা হয়, নিজের এক ব্লগ পোস্টে সিগন্যাল থেকে পদত্যাগের কথা লিখেছেন মক্সি। ব্লগে তিনি লিখেছেন, এক দশকের বেশি সময় ধরে সিগন্যালে কাজ করছেন। প্রধান নির্বাহী পদ (সিইও) থেকে সরে যাওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়।
বিবিসির খবরে বলা হয়, সম্প্রতি সিগন্যাল অ্যাপের মধ্যে ক্রিপ্টোকারেন্সি পেমেন্ট সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে। এতে অ্যাপটির ব্যবহার করা নিয়ে অনেক ব্যবহারকারী উদ্বেগে রয়েছেন।
পদত্যাগ করলেও মক্সি মার্লিনস্পাইক সিগন্যাল ফাউন্ডেশনের বোর্ড সদস্য হিসেবে থাকবেন। এ প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী চেয়ারম্যান ব্রায়ান অ্যাক্টন অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
সিগন্যালের সহপ্রতিষ্ঠাতা নেট দুনিয়ায় মার্লিনস্পাইক নামে পরিচিত হলেও তাঁর প্রকৃত নাম ম্যাথু রোজেনফিল্ড। তিনি ব্লগ পোস্টে বলেছেন, তাঁর সংশ্লিষ্টতা ছাড়াও সিগন্যাল আরও এগিয়ে যাবে এবং টেকসই হবে বলে তিনি আশা করেন।
নিজের কাজ সম্পর্কে স্মৃতিচারণা করে এই প্রযুক্তি উদ্যোক্তা লিখেছেন, ‘আমি নিজে সব অ্যান্ড্রয়েড কোড, সার্ভার কোড লিখেছি। সেবা পেতে কল গ্রহণ করার মতো একমাত্র লোক ছিলাম। সেবা বিকাশের সুবিধা তৈরি ও সবাইকে পরিচালনার কাজও করেছি। আমি কখনোই ফোন পরিষেবা ছেড়ে যেতে পারিনি। জরুরি পরিস্থিতিতে সর্বত্র ল্যাপটপ আমার সঙ্গে নিয়ে যেতে হয়েছে। অনেক সময় বৃষ্টির মধ্যে রাস্তার পাশে বসে রাতেও কোনো সমস্যা সমাধানে কাজ করতে হয়েছে।’
বর্তমানে বিশ্বে চার কোটির বেশি মানুষ সিগন্যাল অ্যাপটি ব্যবহার করছেন।
হোয়াটসঅ্যাপ তাদের প্রাইভেসি নীতিমালায় পরিবর্তন আনার পর সিগন্যালের জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। বিনা মূল্যের অ্যাপটি হোয়াটসঅ্যাপের মতোই এনক্রিপটেড সেবা দিয়ে থাকে।
প্রোগ্রামার ও ক্রিপটোগ্রাফার হিসেবে মার্লিনস্পাইকের কাছ থেকে সিগন্যাল ও হোয়াটসঅ্যাপ উভয়ই সুবিধা পেয়েছে। সিগন্যালের জন্য তিনি যে প্রটোকল তৈরি করেছেন, তা হোয়াটসঅ্যাপেও যুক্ত করা হয়েছে। অন্য অ্যাপেও এ সুবিধা যুক্ত হয়েছে।
মার্লিনস্পাইকের দায়িত্ব থাকাকালে সিগন্যালের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। তবে ক্রিপটোকারেন্সি নিয়ে পরীক্ষা করার কারণে সম্প্রতি ব্যবহারকারীরা সমস্যায় পড়েন।