নয়-এগারো কী শেখাল?

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। ছিনতাই করা যাত্রীবাহী দুটি উড়োজাহাজে ধসে গেল যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, নিভে যায় হাজার হাজার প্রাণ। ছবি: রয়টার্স
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। ছিনতাই করা যাত্রীবাহী দুটি উড়োজাহাজে ধসে গেল যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, নিভে যায় হাজার হাজার প্রাণ। ছবি: রয়টার্স

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। ছিনতাই করা যাত্রীবাহী দুটি উড়োজাহাজের আঘাতে ধসে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, নিভে যায় হাজার হাজার প্রাণ। স্নায়ুযুদ্ধের স্নায়ুক্ষয়ী উত্তেজনা অবসানের ১০ বছরের মাথায় ফের অস্থির হয়ে পড়ে বিশ্বরাজনীতি। আফগানিস্তানে শুরু হয় মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের আগ্রাসন। এরপর ইরাক, লিবিয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের যুদ্ধ আর শেষ হয় না। নাকি এই যুদ্ধের যবনিকা টানতে আগ্রহীই নয় বিশ্ব মোড়লেরা?

১৭ বছর আগে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলা হয়েছিল। টুইন টাওয়ারে দুটি উড়োজাহাজের আঘাত হানার দৃশ্য টিভির পর্দায় দেখে বিশ্ববাসী চমকে গিয়েছিল। স্নায়ুযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রই ছিল বিশ্বরাজনীতির কেন্দ্রস্থল। সেখানে এমন ভয়ংকর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। না পারাটাই স্বাভাবিক। কারণ, দোর্দণ্ড প্রতাপশালী যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক কেন্দ্রে কেউ হামলা করতে পারে এবং দম্ভভরে তার দায় স্বীকার করতে পারে—১১ সেপ্টেম্বরের আগে দিবাস্বপ্নেও কেউ তা কল্পনা করার দুঃসাহস করেনি। অথচ সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক আল-কায়েদার প্রধান ওসামা বিন লাদেন সেটিই করলেন।

দোর্দণ্ড প্রতাপশালী যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক কেন্দ্রে হামলা চালানোর পর দম্ভভরে তার দায় স্বীকার করে সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক আল-কায়েদা। এর প্রধান ছিলেন ওসামা বিন লাদেন। ছবি: রয়টার্স

টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলায় প্রায় তিন হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল, আহত হয়েছিল হাজার ছয়েক। যাঁরা প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন, তাঁদের জীবনে নাইন-ইলেভেন হয়ে আছে দগদগে ঘায়ের মতো। প্রত্যাশিতভাবেই এ হামলার প্রতিশোধ নিতে দৃঢ়সংকল্প নেয় যুক্তরাষ্ট্র। কারণ, এর সঙ্গে মার্কিন নাগরিকদের জীবনের মূল্য ও দেশের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত ছিল। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। এসব প্রশ্নের ফয়সালা করতে যুদ্ধকেই একমাত্র পথ বলে মনে করলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ। টুইন টাওয়ার ধ্বংস হওয়ার বছরেই শুরু হয় মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের আফগানিস্তান আক্রমণ। লক্ষ্য ছিল আল-কায়েদা ও এর নেতা ওসামা বিন লাদেন এবং তাঁকে সমর্থন দেওয়া তালেবান সরকার।

প্রতিটি সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে কিছু বিকল্প উপায় থাকে। তবে সেসব বিকল্প পথে না গিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট বুশ সামরিক বলপ্রয়োগের মাধ্যমে সরাসরি হস্তক্ষেপকেই উপযুক্ত মনে করেছিলেন। ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর পরই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন বুশ। তখন মার্কিন প্রশাসন বলেছিল, সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষণা করা সব দেশকেই শত্রু দেশ হিসেবে গণ্য করা হবে। তবে আদতে কি তা ঘটেছে? আল-কায়েদা নেটওয়ার্ক ও ওসামা বিন লাদেনের খোঁজে আরেক মহাদেশে মার্কিন জঙ্গি বিমানের ওড়াউড়ি শুরু হলেও একদা যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে থাকা গুরুতর অভিযোগের কোনো সুরাহা হয়নি। ২০০৪ সালে প্রকাশিত নাইন-ইলেভেনের ঘটনার তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টুইন টাওয়ারে হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সাবেক সৌদি রাষ্ট্রদূত প্রিন্স বানদারের যোগসূত্র ছিল। শুধু তা-ই নয়, তাদের সরাসরি অর্থ দেওয়ার বিষয়টিও সামনে আসে। জানা যায়, উড়োজাহাজ ছিনতাই করা ১৯ জন সন্ত্রাসীর ১৫ জনই ছিল সৌদি নাগরিক। কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধা হয়নি। কট্টর ওয়াহাবিবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষণার অভিযোগও বেশ পুরোনো। তা নিয়েও হট্টগোল করেনি বুশ প্রশাসন। বরং নাইন-ইলেভেন-পরবর্তী সৌদি-মার্কিন হৃদ্যতা আরও সুদৃঢ় হয়, যা এখনো বর্তমান। অনেকটা বিষবৃক্ষের ডালপালা ছেঁটে গোড়ায় পানি ঢালার মতো।

প্রত্যাশিতভাবেই টুইন টাওয়ারে হামলার প্রতিশোধ নিতে দৃঢ়সংকল্প নেয় যুক্তরাষ্ট্র। এর ফয়সালা করতে যুদ্ধকেই একমাত্র পথ বলে মনে করলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ। ছবি: রয়টার্স

অথচ আফগানিস্তানের তালেবানদের পেলে-পুষে বড় করেছিল যুক্তরাষ্ট্রই। অভিযোগ আছে, আফগানিস্তানে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের আগ্রাসনের পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবেই তালেবানকে দুধকলা দিয়েছিল ওই সময়কার মার্কিন প্রশাসন। একসময়ের সেই ঢোঁড়া সাপ পরে ফণা তুলে গোখরায় পরিণত হয়! স্নায়ুযুদ্ধের সময়ে যেটি ছিল সোভিয়েতদের কলা দেখানোর উপায়, বিশ্বে একাধিপত্য প্রতিষ্ঠার পর তাই হয়ে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের গলার কাঁটা।

কিন্তু যে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের প্রতিজ্ঞায় হাজার হাজার মার্কিন সেনাকে বিদেশের মাটিতে ঘাঁটি গাড়তে হলো, সেটি কি পূর্ণ হয়েছে? উত্তর: হয়নি। বিজ্ঞানের হিসাব অনুযায়ী, প্রতিটি ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। আফগানিস্তানের পর ২০০৩ সালে ইরাকে আক্রমণ চালিয়ে বসে যুক্তরাষ্ট্র। অভিযোগ তোলা হয়, ইরাকের তৎকালীন একনায়ক সাদ্দাম হোসেইন মজুত করছেন গণবিধ্বংসী অস্ত্র। যদিও সাদ্দাম সরকার উৎখাতের এত বছর পরও সেই অস্ত্রের ‘অ’ খুঁজে পাওয়া যায়নি। মাঝখান দিয়ে উদ্ভব ঘটে খেলাফত প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে বিভোর সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস)। ২০১৫ সালে সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার বলেছিলেন, ইরাকে যুদ্ধ না হলে আইএসের জন্ম হতো না।

টুইন টাওয়ার ধ্বংস হওয়ার বছরেই শুরু হয় মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের আফগানিস্তান আক্রমণ। লক্ষ্য ছিল আল-কায়েদা ও এর নেতা ওসামা বিন লাদেন এবং তাঁকে সমর্থন দেওয়া তালেবান সরকার। ছবি: এএফপি

আল-কায়েদা নেটওয়ার্কের পর বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসের সমার্থক শব্দে পরিণত হয়েছে এই আইএস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চালানো সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করে আলোচনায় চলে আসে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি। এখন অবশ্য বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে ইসলামিক স্টেট। কিন্তু সামরিক বলপ্রয়োগের প্রতিক্রিয়ায় আবার যে কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মাথা তুলে দাঁড়াবে না, তার নিশ্চয়তা কী?

এরই মধ্যে ইরাক থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে গেছে মার্কিন সেনা। নিন্দুকেরা বলেন, সঙ্গে গেছে দেশটির তেলসম্পদের বখরাও। আর রেখে গেছে চরম রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নৈরাজ্য। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া প্রথম যুদ্ধক্ষেত্র অবশ্য ছাড়তে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। উল্টো আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাসমাবেশ আরও বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারণ, দুধকলা দিয়ে বড় করা তালেবান যে শায়েস্তা হয়নি! উল্টো দুধের সঙ্গে আফিম মিশিয়ে ফের রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের নেশায় উন্মত্ত হয়ে উঠেছে তারা।

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া প্রথম যুদ্ধক্ষেত্র অবশ্য ছাড়তে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। উল্টো আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাসমাবেশ আরও বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

নাইন-ইলেভেনের কারণে সামরিক ও নিরাপত্তা খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন অস্ত্র ও প্রযুক্তির ক্রেতা বেড়েছে, বাণিজ্যও হচ্ছে বেশ। অস্ত্র প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছে চীন-রাশিয়ার মতো দেশগুলো।
ফলাফল—পরাশক্তিসুলভ হম্বিতম্বির রীতি ফিরে আসছে। রাজায়-রাজায় যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা চলছে, আর এসব দেশের নাগরিকরূপী উলুখাগড়ার প্রাণ যায় যায় অবস্থা!

গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্সে শীর্ষ স্থানটি এখনো যুক্তরাষ্ট্রের দখলে। তবে ঘাড়ে শ্বাস ফেলছে রাশিয়া-চীন। নাইন-ইলেভেনের পর সন্ত্রাসবাদ ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার অজুহাতে অনেক রাষ্ট্রেই কর্তৃত্ববাদী সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মস্কোয় চলছে পুতিনের শাসন, বেইজিংয়ে সি চিন পিংয়ের। সেখানে তাঁদের কথাই শেষ কথা। একই মডেলে দেশ চালাতে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। সবখানে রাষ্ট্রের চেয়ে ব্যক্তিই প্রধান হয়ে উঠছেন। ডালপালা মেলছে উগ্র জাতীয়তাবাদ।

নয়-এগারোর পর সন্ত্রাসবাদ ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার অজুহাতে অনেক রাষ্ট্রেই কর্তৃত্ববাদী সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মস্কোয় চলছে পুতিনের শাসন, বেইজিংয়ে সি চিন পিংয়ের। সেখানে তাঁদের কথাই শেষ কথা। একই মডেলে দেশ চালাতে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও

এই উগ্র জাতীয়তাবাদ আবার সারা বিশ্বে বিভক্তি সৃষ্টির অন্যতম কারণ। বিশ্বায়নের ধারণা এখন ধীরে ধীরে পণ্যবাজার ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে সীমিত হয়ে পড়ছে। সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মিথস্ক্রিয়ার রাশ টেনে ধরছে বিদ্বেষমূলক রাজনীতি। কিন্তু যে মূল সমস্যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় এত কিছুর উৎপত্তি, সেই সন্ত্রাসবাদের মূলোৎপাটনে পূর্ণ মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে না। নিরাপত্তা নিশ্চিতের ধুয়া তুলে মৌলিক গণতান্ত্রিক মূলবোধের টুঁটি চেপে ধরা হচ্ছে।

টুইন টাওয়ারে হামলা যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক পরিবেশকে সংকুচিত করে ফেলেছে বলে মনে করেন কিছু বিশ্লেষক। দ্য ওয়াশিংটন পোস্টে লেখা এক নিবন্ধে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের ইতিহাসের অধ্যাপক জেরেমি সুরি বলেছেন, নাইন-ইলেভেন-পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা খর্ব হয়েছে। বেড়েছে প্রযুক্তিগত নজরদারি। এই ঐতিহাসিকের মতে, মার্কিনরা এখন গণতন্ত্রের বিরুদ্ধেই লড়ছেন! কাবুল থেকে সেই যুদ্ধ এখন যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হয়েছে।

নাইন-ইলেভেনের পর যুক্তরাষ্ট্র অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে বিভিন্ন গোয়েন্দা ও নজরদারি সংস্থায়। প্যাট্রিয়ট অ্যাক্ট প্রণয়ন করায় নাগরিক স্বাধীনতার ওপরে স্থান পেয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা। গণতন্ত্রের অন্যতম বিবেচ্য বিষয় ব্যক্তিগত ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। ধীরে ধীরে সংকুচিত হচ্ছে এটি, বাড়ছে রাষ্ট্রের অযাচিত হস্তক্ষেপ—স্নোডেনকাণ্ডে তা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার স্লোগানও জোরদার হয়েছে। অস্ত্র কেনার হিড়িক পড়েছে মার্কিন জনগণের মধ্যে। কিন্তু আগ্নেয়াস্ত্রের যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আগ্রহ নেই মার্কিন কংগ্রেসের। এ কারণে নাইন-ইলেভেন-পরবর্তী বিভিন্ন যুদ্ধে মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে বন্দুক হামলায় মৃত্যুর সংখ্যা!

এত কিছুর ভিড়ে খানিকটা নিষ্ক্রিয় হলেও একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়নি আল-কায়েদা বা আইএস। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, নামে-বেনামে ফের ফণা তুলতে পারে এসব সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্ক। কারণ, সন্ত্রাসবাদের সমূল উৎপাটনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক নানা স্বার্থ। এসব ভুলে এক মঞ্চে দাঁড়াতে না পারলে হয়তো কোনো দিনই সন্ত্রাসের বিষাক্ত ছোবল থেকে রেহাই মিলবে না।