করোনা মহামারিতে আক্রান্ত বিশ্বে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে জোর দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব পদার্থবিদ ও নোবেলজয়ী মাইকেল লেভিট ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছেন, নতুন করোনাভাইরাস শিগগিরই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
২০১৩ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার পান লেভিট। অন্য স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পূর্বাভাস দেওয়ার আগেই লেভিট চীনের মহামারি সম্পর্কে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, করোনাভাইরাস মহামারি সর্বনাশা বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লেভিট বলেছেন, ‘আমাদের এখন ভীতি আগে দূর করতে হবে। সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে।’
নোবেলজয়ী এ জৈব পদার্থবিদ বলেন, মহাবিপর্যয়ের যে ধরনের সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে, তথ্য তা সমর্থন করে না। সংখ্যা এখনো গোলমেলে, তবে ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার কমার প্রমাণ রয়েছে।
জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ২২৪ আর এতে মারা গেছে ৪৭১ জন। বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা চার লাখ ছাড়িয়েছে। এতে মারা গেছে ১৭ হাজার মানুষ।
লেভিট বলেন, সামাজিক দূরত্ব সৃষ্টি ও ভ্যাকসিন দেওয়া করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
করোনাভাইরাস নিয়ে ভীতি সৃষ্টির জন্য গণমাধ্যমের ওপর অভিযোগ তোলেন এ বিজ্ঞানী।
এর আগে চীনে যখন কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছিল, তখন আশাবাদ শোনাচ্ছিলেন লেভিট। তিনি বলেছিলেন, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার হার আগামী সপ্তাহ থেকে কমে যাবে। তাঁর দেওয়া পূর্বাভাস অনেকটাই ফলে গেছে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে তিনি পূর্বাভাস দেন, চীনে ৮০ হাজার আক্রান্ত হবে এবং ৩ হাজার ২৫০ জনের মতো মারা যেতে পারে। ১৬ মার্চ চীনের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে ৮০ হাজার ২৯৮ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং ৩ হাজার ২৪৫ জন মারা গেছে।
লেভিট বলেন, অতি প্রতিক্রিয়া দেখালে আরেক সমস্যা সৃষ্টি হবে। চাকরি হারানোর পাশাপাশি চারপাশে হতাশার চিত্র ফুটে উঠবে। তথ্যসূত্র: আইএএনএস