নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলিতে

নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলিতে সাবেক ড্রিমার কাতালিনা ক্রুজের জয়

আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচনে নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলিতে জয়ী হয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী সাবেক ড্রিমার কাতালিনা ক্রুজ। কাতালিনাই প্রথম সাবেক ড্রিমার, যিনি নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি নির্বাচনে জয়ী হলেন।
এনবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬ নভেম্বর রাতে নির্বাচনে নিউইয়র্কের ৩৯তম অ্যাসেম্বলি ডিস্ট্রিক্টে প্রার্থী এরি এস্পিনাল ও রিফর্ম পার্টির প্রার্থী ববি কালোতির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন ৩৫ বছর বয়সী কাতালিনা ক্রুজ। বাঙালি অধ্যুষিত নিউইয়র্ক, জ্যাকসন হাইটস, করোনা ও কুইন্সের এল্মহার্স্ট থেকে জয় লাভ করেন এই সাবেক ড্রিমার।
ফল ঘোষণার পর কাতালিনা ক্রুজ তাঁর ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘আমি কখনো ভোট দিতে পারব না, এটা আমি কখনোই ভাবিনি।’
শিশুকালে অবৈধভাবে আসা বাবা-মায়ের সঙ্গে আমেরিকায় এসে এখানেই বড় হয়েছেন, তারা ‘ড্রিমার’ হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে নিউইয়র্কে ৪২ হাজার ড্রিমার অভিবাসী রয়েছেন। এরা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ডিফারড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভালস (ডাকা) কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত। আমেরিকায় ড্রিমারদের সংখ্যা প্রায় আট লাখ। এদের পুনর্বাসনের জন্য এবং মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ডাকা প্রকল্পটি চালু করেছিলেন। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অনেক তরুণও এই প্রকল্পের সুবিধার আওতায় আমেরিকায় পড়াশোনা করছে এবং বৈধ আমেরিকান জীবনের স্বপ্ন দেখছে। কাতালিনা ক্রুজও ছিলেন এমন একজন ড্রিমার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতালিনা ক্রুজ কলম্বিয়া থেকে পরিবারের সঙ্গে এসে নিউইয়র্কের কুইন্সে নথিপত্র ছাড়াই বাস করতেন। প্রায় ১০ বছর এভাবে থাকার পর হাইস্কুলের প্রেমিককে বিয়ে করে তিনি আমেরিকার নাগরিকত্ব লাভ করেন।
এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাতালিনা বলেন, ‘অনেক মানুষেরই এমন স্বপ্ন আছে। সম্ভবত তাঁরা আমার চেয়েও অনেক বেশি যোগ্য। কিন্তু শুধু বৈধ কাগজপত্র না থাকার কারণেই তাঁরা সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারছেন না।’
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বছর সেপ্টেম্বরে ওবামার ডাকা কর্মসূচির পরিসমাপ্তি ঘোষণা করেন। ডাকা কর্মসূচি বাতিল হলে আমেরিকায় বড় হওয়া প্রায় আট লাখ ড্রিমার অভিবাসীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। তবে ট্রাম্পের ওই ঘোষণার পর সেসিন্ডারম্যানসহ আরও ১৫ জন ডাকা কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে আদালতে মামলা করেন। আদালত চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্পের ঘোষণার ওপর স্থগিতাদেশ দেন।