নিউইয়র্ক মাতালেন নগরবাউল জেমস

মেলরোজ বলরুমে নগরবাউল জেমস। এস্টোরিয়া, নিউইয়র্ক, ২৩ ডিসেম্বর। ছবি: প্রথম আলো
মেলরোজ বলরুমে নগরবাউল জেমস। এস্টোরিয়া, নিউইয়র্ক, ২৩ ডিসেম্বর। ছবি: প্রথম আলো

পরনে কালো টি-শার্ট ও জিনসের প্যান্ট, পায়ে সাদা জুতা। কাঁধে গিটার ঝুলিয়ে তারুণ্যের প্রতীক হয়ে নগরবাউল জেমস মঞ্চে উঠলেন। দর্শক গ্যালারি মুখর হয়ে উঠল ‘লাভ ইউ গুরু’ এবং ‘জয় গুরু’ ধ্বনিতে। মেলরোজ বলরুমে জেমস যখন গান শুরু করলেন নেমে এল পিনপতন নীরবতা। নিউইয়র্কের এস্টোরিয়াতে ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ‘নগরবাউল জেমস লাইভ এই নিউইয়র্ক’ শিরোনামের কনসার্টের আয়োজন করে শো টাইম মিউজিক।

জেমস শুরু করলেন ‘কবিতা তুমি স্বপ্নচারিণী’ গানটি দিয়ে। এর পরে গেয়ে চলেন ‘দুঃখিনী দুঃখ করো না’, ‘লেইস্ ফিতা লেইস্’ প্রভৃতি। তরুণ-তরুণীরা আনন্দ প্রকাশ করেছেন ‘গুরুর’ সঙ্গে গেয়ে ও নিজের মতো নেচে। জেমসের গানে মাতোয়ারা হল ভরা অন্তত সাড়ে চার শত দর্শক। এর পরে গাইলেন ‘মা’। আবেগে আপ্লুত হতে দেখা যায় কয়েকজনকে। জেসম ধরলেন ‘চল চলে আপনে ঘর’। দর্শক সারিতে জেমস উন্মাদনা। পাঁচটি গান গেয়ে তিনি বিরতিতে চলে গেলেন।

এ সময় শো টাইমের কর্ণধার আলমগীর খান আলম যারা এই কনসার্টকে বিজ্ঞাপন দিয়ে পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন তাঁদেরকে দর্শকের সামনে পরিচয় করিয়ে দেন। পর্বটি দীর্ঘ না হওয়ায় আয়োজকদের প্রশংসা করে দর্শক। কলেজ পড়ুয়াদের দেশি সংস্কৃতিতে উৎসাহ দিতে তাদের টিকিটে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। তাই তরুণদের সংখ্যা ছিল অনেক। এই প্রতিবেদক অনেক তরুণের সঙ্গে কথা বলেন আয়োজন নিয়ে। সবাই এর প্রশংসা করেছে। এর মধ্যে লবণ্য সানজিদা বলেন, ‘ইটস অসাম ম্যান। এর আগে এমন আয়োজনে জীবনে আসি নাই। আমার খুব ভাল্লাগছে।’

বিরতি শেষে জেমস ধরলেন ‘মীরা বাঈ’, ‘গুরু ঘর বানাইলা কী দিয়া’। দর্শকের আনন্দ-উচ্ছ্বাস বেড়েই চলে একের পর এক জনপ্রিয় সব গান শুনে। জেমস দর্শকের অনুরোধকে গুরুত্ব দিয়ে গেয়ে চলেন ‘পাগলা হাওয়া’, ‘দুষ্টু ছেলের দল’। শেষে গাইলেন আরেকটি হিন্দিগান। সব মিলিয়ে ১০টি গান গেয়ে নিউইয়র্ক মাতিয়ে গেলেন জেমস। জেমসের সঙ্গে গিটারে ছিলেন রানা ও সাব্বির। কিবোর্ড বাজিয়ে ছিলেন তমাল। ড্রাম বাজিয়ে সবাইকে মাতিয়ে রেখেছিলেন ফান্টি।

শো টাইমের আলমগীর খান আলম বলেন, ‘আমরা ২০০১ সালে প্রথম আমেরিকায় কনসার্টের জন্য নিয়ে আসি নগরবাউলকে। ২০১৫ সালে এসেছিলেন সর্বশেষ। এবারের কনসার্টটি আমরা সার্থকভাবে করতে পেরেছি কমিউনিটির অনেকের সহযোগিতার কারণে। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। মার্চ মাসে বাংলা সিনেমার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়ে আরেকটি অনুষ্ঠান আছে। আশা করছি, এবারের মতো তখনো দর্শকদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি থাকবে।’