নিউইয়র্ক নগরের ব্রঙ্কসে বাংলাদেশি এক ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগে আবদুল খালেক নামের আরেকজন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ব্রঙ্কসের ইস্ট ২০৮ স্ট্রিট, জেরুম অ্যাভিনিউয়ে রাস্তায় স্বদেশি আবুল কালাম আজাদকে পিটিয়ে আহত করেন খালেক। তাঁর সহযোগী ছিলেন ফাতেহ নামের তুরস্কের এক নাগরিক। আবুল কালাম আজাদ জেরুম অ্যাভিনিউর কর্নারে ফুটপাতে ফলের ব্যবসা করেন।
ঘটনার শিকার আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমে তাঁর ওপর প্রকাশ্য হামলার বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ১১ আগস্ট সকাল ১০টায় নিজ দোকানে ট্রাক থেকে ফল নামানোর সময় তাঁর ওপর প্রথমে হামলা চালানো হয়। এরপর তিনি সেখান থেকে সরে এসে পুলিশকে কল করেন। ১০-১৫ মিনিট পর খালেক ও তাঁর সহযোগী ফাতেহ আবার আবুল কালাম আজাদের ওপর চড়াও হন।
সবার সামনেই ফল বিক্রেতা বাংলাদেশি আবুল কালামকে মারধর করা হয়। সেখানে ভিনদেশি ব্যবসায়ীরাও ৯১১-এ কল দিয়ে ঘটনার বর্ণনা দেন। পরে পুলিশ এসে খালেক ও তাঁর সহযোগী ফাতেহকে গ্রেপ্তার করে।
আবুল কালাম বলেন, ‘আমার ফলের দোকান থেকে দুই–তিন ব্লক দূরেই খালেকের ফলের দোকান। আমার দোকানে বেচাকেনা ভালো হয় বলে তিনি মেনে নিতে পারছেন না। বেশ কয়েক দিন ধরে আমাকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন খালেক ও তাঁর সহযোগী। আজ তাঁরা দুজন মিলে আমাকে পিটিয়ে জখম করেছেন। আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও তাঁরা ক্ষান্ত হননি। পরে পুলিশ ও পথচারীরা আমাকে উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নিয়ে যান।’
আহত আবুল কালাম বলেন, ‘এই খালেক নানা সময়ে অপকর্ম করে জেল খাটলেও তাঁর কিছুই হচ্ছে না। তিনি (বেল-বন্ড) জামিনে বেরিয়ে আসেন। আবার নতুন কোনো অপকর্মে লিপ্ত হন। আমি নিরীহ মানুষ। তিনি আমাকেও ছাড়েননি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একজন বলেন, খালেক উগ্র প্রকৃতির লোক। তিনি কমিউনিটিতে অনেক অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন। এর আগেও তাঁকে বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার করা হয়।
বাংলাদেশে কুমিল্লার লাকসামে খালেকের গ্রামের বাড়ি। নিউইয়র্কে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পরিচিত খালেক এর আগেও একাধিকবার আটক হয়ে জেল খেটেছেন। ২০১৭ সালের দিকে খালেকের হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার হন এক বাংলাদেশি নারী। সে সময় কমিউনিটি থেকে তাঁর বয়কটের দাবিও উঠেছিল।