নিউইয়র্ক নগরীতে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে পাঁচটি পৃথক স্থানে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’–এর ভাস্কর্য স্থাপন করা হচ্ছে। এতে নগরীর পাঁচটি সড়কপথে শোভা পাবে আমেরিকার সাম্প্রতিক নাগরিক আন্দোলনের সাফল্যের প্রতিকৃতি।
নিউইয়র্কের মেয়র বিল ডি ব্লাজিও ১৯ জুন সংবাদ সম্মেলনে নিউইয়র্কের নাগরিকদের সাম্প্রতিক আন্দোলনের শক্তিকে চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নিউইয়র্ক নগরী জোরের সঙ্গে নিয়মিত বলছে 'ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার'। আমরা একের পর এক এমন কাজ দিয়ে নগরীর স্পন্দন ফিরিয়ে আনব।
নগরীর পাঁচটি সড়কপথের মধ্যে ম্যানহাটনের ওয়ার্থ স্ট্রিট এবং রিড স্ট্রিটের মধ্যবর্তী অংশ, স্ট্যাটেন আইল্যান্ডের হ্যামিল্টন অ্যাভিনিউ ও টার্মিনাল ভিয়াডাক এলাকা, ব্রুকলিনের অ্যাডাম স্ট্রিট এবং কোর্ট স্ট্রিটের মধ্যবর্তী জোরেলমোন স্ট্রিট এলাকা, কুইন্সের জ্যামাইকা ও আর্চার অ্যাভিউনিউর মধ্যবর্তী ১৫৩ স্ট্রিট এবং ব্রঙ্কসের ১৬১ ও ১৬২ স্ট্রিটের মধ্যবর্তী মরিস অ্যাভিনিউ এখন থেকে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ সড়ক হিসেবে পরিচিত হবে। এসব এলাকায় একটি করে আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করা হবে। সড়কপথে হলুদ রং দিয়ে লেখা থাকবে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’।
করোনায় নাকাল হওয়া নগরীতে সাম্প্রতিক নাগরিক আন্দোলন অনেক কিছুই পাল্টে দিচ্ছে। ২৫ মে মিনিয়াপোলিসে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড পুলিশের হাতে নিহত হওয়ার পর আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে পুরো আমেরিকায়। আন্দোলন-বিক্ষোভে নিউইয়র্কও উত্তাল হয়ে ওঠে। এ আন্দোলন শুধু কৃষ্ণাঙ্গদের আন্দোলন থাকেনি, উদারনৈতিক নাগরিক আন্দোলনে রূপ নেওয়া বিক্ষোভ এখনো চলছে। ১৯ জুনও নিউইয়র্কে বড় বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। প্রতিবাদে, স্লোগানে বিক্ষোভকারীদের উচ্চারণ ছিল সব বৈষম্যের বিরুদ্ধে, পুলিশের সহিংসতার বিরুদ্ধে।
এদিকে করোনায় বিপর্যস্ত নিউইয়র্কের রাজ্য গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো ১৯ জন করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর প্রতিদিনের প্রেস ব্রিফিংয়ের সমাপ্তি টেনেছেন। ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে টানা ১১১ দিনের প্রতিদিনই গভর্নর কুমো উপস্থিত ছিলেন নাগরিকদের সামনে। কঠিন সময় পেরিয়ে আসার কথা উল্লেখ করে গভর্নর কুমো বলেছেন, আমরা এক অসম্ভবকে সম্ভব করেছি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে নিউইয়র্ক খুলছে। গভর্নর তাঁর শেষ সংবাদ সম্মেলনেও বলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখনো হচ্ছে। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।