আমেরিকায় মেরিন কর্পসের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নারীরা পুরুষদের সঙ্গে প্রশিক্ষণ নেবে। গত ৭০ বছর ধরে, মেরিন কর্পসের বুট শিবিরে নারী কর্মকর্তারা ফায়ার ড্রিল, দড়ি স্লাইড করে ওটা-নামা, স্প্রিনার ছোড়া এবং পুরুষ সঙ্গী থেকে বিচ্ছিন্ন হলে কীভাবে প্রতিপক্ষের বাঁধা মোকাবিলা করবে—এসব পৃথকভাবে শিখে আসছিল।
ইউএস মেরিন কর্পস এবারই প্রথমবার ৫০ জনের এক প্লাটুন তরুণ নারী কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে; যাঁরা পুরুষদের মতো সব ধরনের প্রশিক্ষণ নেবেন।
তবে সামরিক বাহিনীর নারীদের পক্ষের একজন আইনজীবী এমন প্রশিক্ষণকে ভালো মনে করছেন না।
মেরিন কর্পসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৪ জানুয়ারি থেকে আনুমানিক ৫০ জন নারী ৫ প্লাটুন পুরুষের (এক প্লাটুনে ৪৩/৫০ জন) সঙ্গে বুট ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ শুরু করেছে। আগে কোনো নারী মেরিন এমন প্রশিক্ষণ নেননি। বুট ক্যাম্পগুলো হচ্ছে দক্ষিণ ক্যারোলাইনার প্যারিস আইল্যান্ডে।
মেরিন কর্পসের নির্দেশনাসহ সব নিয়ম-নীতি প্রোগ্রামে অপরিবর্তিত রয়েছে।
মেরিন কর্পসের সুবিধার জন্য ঐতিহ্যগতভাবে সব সময় পুরুষেরাই বুট ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন।
এবার ৫০ জন নারীসহ প্রায় ৩০০ জনকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণ ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নয় বরং প্রশিক্ষণ দক্ষতা বাড়ানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। মার্কিন মেরিন কর্পসের নিয়ম অনুযায়ী, ১৩ সপ্তাহের অধিবেশনের পরে মূল প্রশিক্ষকেরা প্রশিক্ষণের ফলাফল মূল্যায়ন করবেন।
সেনাবাহিনীর উইমেন অ্যাকশন নেটওয়ার্কের সিইও হারিং বলেন, তাঁরা সামুদ্রিক কর্পসে সমন্বিত বুট ক্যাম্পের পক্ষে দীর্ঘকাল ধরে সমর্থন জানিয়ে আসছেন, তবে নারীদের আলাদা প্রশিক্ষণের বিষয়টিকে তিনি একটি ‘পদ্ধতিগত বৈষম্য’ বলে মনে করেন। মেরিনাররা মনে করেন, মেরিন কর্পসে প্রথমবারের মতো পুরুষ ব্যাটালিয়নে প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার জন্য নারী মেরিন নিয়োগের পরিকল্পনাটি একটি ইতিহাস সৃষ্টি করবে।