মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, আইএসের নতুন নেতার পরিচয় যুক্তরাষ্ট্র জানে। মার্কিন বাহিনীর অভিযানে সাবেক আইএস প্রধান আবু বক্কর আল-বাগদাদি নিহত হওয়ার পর নতুন নেতার নাম ঘোষণা করেছে কট্টরপন্থী গোষ্ঠীটি।
গতকাল শুক্রবার এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘আইএস তাদের নতুন নেতা নির্বাচিত করেছে। আমরা ভালো করেই জানি তিনি কে!’
তবে মার্কিন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে আর কিছু জানাননি।
আবু বক্কর আল-বাগদাদির মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছে ইসলামিক স্টেটও (আইএস)। বৃহস্পতিবার তারা জানিয়েছে, গত সপ্তাহের শেষ দিকে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় মার্কিন বিশেষ বাহিনীর অভিযানে তিনি নিহত হন। আইএস এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছে। অনলাইনে পোস্ট করা এক অডিও বার্তায় বাগদাদির উত্তরসূরি হিসেবে আবু ইব্রাহিম আল-হাশেমি আল-কুরাইশিকে নিযুক্ত করার কথা জানানো হয়।
ট্রাম্প পুলিশপ্রধানদের এক সমাবেশে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বহু বছর ধরে ইসলামিক স্টেট দলের নেতা আল-বাগদাদির সন্ধান করেছে। তিনি বলেন, বাগদাদির ফিরে আসার আর কোনো সুযোগ নেই।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন হামলার ফলে নিয়ন্ত্রণ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে ২০১৪-১৭ সাল পর্যন্ত ইরাক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখল করে কট্টরপন্থী গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দেন আইএস প্রধান বাগদাদি। নিজেকে মুসলমানদের ‘খলিফা’ হিসেবে ঘোষণা করার মধ্য দিয়ে ইরাকে জন্ম নেওয়া এই নেতা আলোচনায় উঠে আসেন। বিশ্বের অন্যতম মোস্ট ওয়ান্টেড আসামি হিসেবে তাঁর নাম মার্কিন বাহিনীর তালিকায় ছিল।
তবে নবনির্বাচিত আইএস প্রধান হাশেমি সম্পর্কে খুব কম তথ্যই জানা গেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকবার বাগদাদি হত্যার মিথ্যা খবর রটানো হয়। সে সময় একাধিকবার সম্ভাব্য উত্তরসূরিদের নানা নাম শোনা গেলেও সে তালিকায় ছিলেন না হাশেমি।
আইএস তাদের মুখপাত্র আবু আল-হাসান আল-মুহাজিরের মৃত্যুর বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাগদাদির মৃত্যুর ফলে ইসলামিক স্টেট বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। নতুন নেতা হিসেবে যিনিই আবির্ভূত হোন না কেন, তাঁকে দলটিকে যোদ্ধাবাহিনী হিসেবে এক জোট করার কাজটি করতে হবে।