অজস্র ভালো লাগার বর্ণচ্ছটায় মূর্ত আমার ক্যানভাস,
তীব্র উত্তেজনা, অফুরন্ত ভালো লাগার বিন্যাসে ভালোবাসা,
অতঃপর শিরায় শিরায় নীল একটা যন্ত্রণা, হয়তোবা
শব্দের শৈল্পিক বিন্যাসে জন্ম নেবে অমর এক কবিতা।
যে কবিতা সত্য ও সুন্দরের কথা বলবে, অন্ধকারে
হারিয়ে যাওয়া সন্তানকে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলবে।
যে কবিতা কবিকে সাহিত্য আসর থেকে তুলে নিয়ে
এসে জায়গা করে দেবে মন্ত্রিসভায়। যে কবিতা,
পাঠ করার সাথে সাথে প্রসব বেদনায় কাতর নারীর
মুখে উচ্চারিত হবে একুশের অনন্য স্লোগান।
অবুঝ প্রেমিকা তাবিজের মতো করে ঝুলিয়ে রাখবে
গলায়, কবিতা প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে লিভিং রুমে
মোনালিসার ছবির বদলে শোভা পাবে রবীন্দ্রনাথ,
নজরুল, শহীদ কাদরীর মতো আড্ডাবাজ কবি।
যে কবিতা প্রকাশিত হলে লজ্জাবতীর মতো কুঁকড়ে যাবে
বাংলিশের উৎপাত। প্রণামের ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে যাবে বিশ্ব।
দেয়ালে অঙ্কিত শহীদ মিনার বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের
প্রত্যাশা নিয়ে দলবেধে নগ্ন পায়ে ছুটে আসবে নতুন প্রজন্ম ।
আলোর মধ্যে কম্পমান ধূলিকণার মতো, পৃথিবীর বুকে
প্রাণের স্পন্দনের মতো, মাথার ওপর দীপ্যমান সূর্যের মতো
অমর একুশ যারা খুঁজে পাবে শুধু তাঁরাই খুঁজে পাবে সত্য।
পূর্বপুরুষের শাশ্বত বাণীর মতো পরিবর্তনশীল বহুত্বের মাঝে
যারা নিজেকে পাবে শুধু তাঁরাই খুঁজে পাবে একুশের মহত্ত্ব।