করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর নিউইয়র্কের বাংলাদেশি মালিকানাধীন মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলো আবার খুলতে শুরু করেছে। অনেক মানি এক্সচেঞ্জে বেশ ভিড় দেখা গেছে।
৫ মে জ্যাকসন হাইটসে কয়েকটি মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানে গিয়ে বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে গ্রাহকদের লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
মুদ্রা স্থানান্তরের প্রতিষ্ঠান সানম্যান গ্লোবাল এক্সপ্রেসের ভিপি অ্যান্ড সিসিও মাসুদ রানা বলেন, করোনার কারণে মানুষ প্রিয়জনের কাছে দেশে টাকা পাঠাতে পারেনি অনেক দিন। অন্যদিকে সামনে ঈদ, তাই সবাই দেশে টাকা পাঠাতে আসছে মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোতে। সানম্যান গ্লোবাল এক্সপ্রেস প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হলে লেনদেনের সময় বর্ধিত করা হবে।
২ মে সোনালী একচেঞ্জ কোম্পানি তাদের নিউইয়র্কের সাতটি শাখা চালু করেছে। সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি মাথায় রেখেই রেমিট্যান্স পাঠানোর কার্যক্রম শুরু করেছে। ইতিমধ্যে তারা গ্রাহকদের ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। নিউইয়র্কে পাঁচ বরোতে ৫০টির বেশি মানি ট্রান্সফার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। লকডাউনের কারণে বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি বেশ কয়েকটি মানি ট্রান্সফার কোম্পানি আবারও লেনদেন শুরু করেছে।
জ্যাকসন হাইটস এলাকার গ্রাহক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশে আমার মা অসুস্থ। তাঁর কাছে টাকা পাঠাতে পেরে নিজের কাছে স্বস্তি লাগছে।’
ব্রুকলিনের অলিউল কবির বলেন, ‘দেশে পরিবারের লোকজন ধার–দেনা করে সংসার চালাচ্ছে। আজ টাকা পাঠাতে পেরে নিজের কাছে খুশি লাগছে।’