তারকা শেফের বয়স হলো এক

রান্না করছে খুদে শেফ কোবে। ছবি: কোবের ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া41952272724137_4800634476025610240_n
রান্না করছে খুদে শেফ কোবে। ছবি: কোবের ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া41952272724137_4800634476025610240_n

অনেকেরই পছন্দের পেশা শেফ। আবার কেউ কেউ শখে করেন এই কাজ। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জারি হওয়া লকডাউনে সবাই কমবেশি গৃহ শেফ বনে গেছেন। কেউ কেউ জনপ্রিয় হতে ইউটিউবে রান্নার চ্যানেল খুলছেন। কিন্তু জনপ্রিয় হওয়া বা তারকাখ্যাতি সবার ভাগ্যে জোটে না। সবার ভাগ্যে না জুটলেও অনেক কিছু বোঝার আগেই মাত্র এক বছর বয়সী শিশু কোবে জনপ্রিয় শেফ হয়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এখন তার ফলোয়ার সংখ্যা ১৩ লাখ পেরিয়ে গেছে।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, মায়ের সাহায্য নিয়ে নানা ধরনের রান্না করছে এক বছর বয়সী শিশু কোবে। নিজের রান্না দিয়ে ইনস্টাগ্রামে ‘কোবে ইটস’ নামের অ্যাকাউন্টে লাখো ফলোয়ারকে মাতিয়ে রেখেছে সে। এই অ্যাকউন্টটি কোবের মা অ্যাশলে উইয়ান ও বাবা কাইলে পরিচালনা করেন। কোবের অ্যাকউন্টের বায়োগ্রাফিতে লেখা ‘শেফ কোবে রান্না, খাওয়া ও কিচেনের নানা বিষয় আবিষ্কার করতে পছন্দ করে।’

ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কোবে মায়ের সাহায্য নিয়ে ছোট্ট হাতে টার্কিশ মেনেমেন রান্না করছে। পাকা রাঁধুনির মতো তার স্বাদও চেখে দেখছে। এ সময় তার পরনে শেফের লাল টুপি ও পোশাক ছিল।

রান্না শেষের হাসি ফুটে উঠেছে কোবের মুখে। ছবি: কোবের ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া

কোবের মা অ্যাশলে উইয়ান বলেন, শুরুতে কোবের এই রান্না ও কিচেনের কাজকর্মের ভিডিও বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘রান্না করার নানা ব্যবহারিক বিষয় কোবে বাসাতেই শিখে ফেলেছে। এটা করতে সে অনেক মজা পায়। শুরুতে এই মজাটা বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের দিতে ভিডিও করে শেয়ার দিয়েছিলাম। গত ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে “কোবে ইটস” নামে অ্যাকাউন্ট খুলেছি। গত ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত তার ২০০ ফলোয়ার হয়েছিল। এরপর বাড়তে বাড়তে তা এখন প্রায় ১৩ লাখে পৌঁছেছে, এটা আমরা কল্পনাও করিনি। আমাদের ছেলে বিশ্বের অসংখ্য মানুষকে আনন্দ দিতে পারছে, এটা অনেক গর্বের বিষয়।’

মা–বাবার সঙ্গে কোবে। ছবি: কোবের ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া

অ্যাশলে বলেন, ‘আমাদের রান্নাঘর ছোট্ট কোবের কাজ করার জন্য যথেষ্ট উপযোগী। কোবে তার মাকে জানিয়েছে, সে ক্যামেরা ও রান্নার নানা উপকরণের স্বাদ নিতে খুব পছন্দ করে। তার প্রিয় বিষয় যেকোনো জিনিস তৈরি করা।’