তাইওয়ানের কাছে ২০০ কোটি ডলারের বেশি নতুন ট্যাংক ও অস্ত্র বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনা চীনকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে।
আজ বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বিশেষ প্রতিবেদনে সম্ভাব্য অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ত্র বিক্রির সঙ্গে জড়িত চারজন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ চলছে। এক চীন নীতি নিয়ে তাইওয়ানের সঙ্গে চীনের সংকট রয়েছে। এ অবস্থায় তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির তথ্যটি ক্ষুব্ধ করেছে চীনকে।
প্রস্তাবিত এই অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য পাঠানো হয়েছে মার্কিন কংগ্রেসে।
তাইওয়ানের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী যুক্তরাষ্ট্র। স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে মনে করে চীন।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন চলতি বছরের মার্চে বলেছিলেন, চীনের চাপের মুখোমুখি হয়ে প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করতে নতুন অস্ত্র কিনতে চাইছে তাইওয়ান। আর তাইওয়ানের অনুরোধে সাড়া দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক কোনো বন্ধন নেই। তবে আত্মরক্ষা ইস্যুতে আইনি বাধ্যবাধকতার বিষয়টি তুলে ধরে তাইওয়ানকে অস্ত্র সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্র।
বিদেশে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রিবিষয়ক মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেছেন, কংগ্রেসের অনুমোদনের আগে অস্ত্র বিক্রির সম্ভাবনা নিয়ে কোনো মন্তব্য করবে না যুক্তরাষ্ট্র।
গত সপ্তাহে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত এক সংলাপে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী উই ফেনঘি যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বলেছেন, তাইওয়ান ও দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে নিরাপত্তা বিরোধের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র যেন নাক না গলায়।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্যাট্রিক শানাহান বলেছেন, এশিয়াজুড়ে চীনের আচরণের ব্যাপারটি আর এড়াতে পারে না যুক্তরাষ্ট্র।