ঐতিহাসিক এই মুহূর্তে আজ আমরা নিশ্চুপ আর ভাবছি, পুরোনোকে ফেলে কীভাবে নতুন করে আবার বাঁচতে হবে। করোনাভাইরাস অনেক কিছুকে থামিয়ে দিলেও শিক্ষাব্যবস্থাকে তেমন প্রভাবিত করতে পারেনি, তাই ইতিহাসের এই কঠিন সময়েও পৃথিবীর সব দেশের শিক্ষাব্যবস্থা কার্যকর ছিল। করোনাভাইরাসের বিস্তারের গতিপথকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য শিক্ষাঙ্গণের পাঠদান কার্যক্রম শ্রেণিকক্ষে বন্ধ করা হয়েছে, কিন্তু শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা ঠিকই নিজের চেষ্টায় করেছিল। এই কঠিন সময় শিক্ষার্থীদের মনোযোগ টলাতে পারেনি।
আমাদের সাময়িক শিক্ষাব্যবস্থা পরিবর্তন হলেও কি আমাদের শিক্ষাগ্রহণের অভ্যাসটা এত সহজে পরিবর্তন হয়ে যাবে। প্রথা অনুযায়ী, আমাদের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাঙ্গনে গিয়ে শিক্ষক থেকে শুধু একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দিক নির্দেশনা পেয়ে থাকে। আর এই অল্প সময়ে শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ একটি বিষয়বস্তুকে বুঝে নিতে পারে, আর তাঁদেরই বলা হয় মেধাবী। আর যারা বিষয়বস্তুকে বুঝতে একটু সময় নেয়, তাঁদেরই একটু সাহায্য নিতে হয় গৃহশিক্ষক থেকে।
আমাদের সমাজে এই গৃহ ক্ষকের ভূমিকাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে জীবিকা অর্জন করে থাকে। আর এই গৃহশিক্ষক ওই সব শিক্ষার্থীর শ্রেণিকক্ষের শিক্ষকের পাঠদান বুঝিয়ে দিতে অনেক অগ্রণী ভূমিকা রাখে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে পাঠদান যেখানে দূরত্ব বজায় রেখে একজন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের দিয়ে থাকেন, তাহলে গৃহশিক্ষক কী করে কাছে গিয়ে পাশে বসিয়ে শিক্ষা দেবেন। তাহলে কি গৃহশিক্ষক আর থাকছে না? যেখানে শিক্ষাব্যবস্থা অনেক টাকার বিনিময়ে ডিজিটাল মাধ্যমে গড়া হয়েছে, কিন্তু সেখানে গৃহশিক্ষক কীভাবে গড়ে তুলবেন তার ডিজিটাল শিক্ষাদানের মাধ্যম। কিন্তু শিক্ষাদান ডিজিটাল মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে, যেখানে শুধু শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে নয়, শুধু ইলেকট্রনিক মাধ্যমে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।
ঠিক তেমনি, একজন সাধারণ গৃহশিক্ষক চাইলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল মাধ্যমে সহায়তা দিতে পারবেন। এজন্য গুগল উদারভাবে দরজা খুলে রেখেছে। এজন্য যেতে হবে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে এবং টাইপ করতে হবে ‘অ্যাপ্লাইড ডিজিটাল স্কিল’। তখন চলে আসবে অথেন্টিকেশান পেজ। এর জন্য প্রথমেই একজন শ্রেণিশিক্ষক বা গৃহশিক্ষককে একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। অ্যাপ্লাইড ডিজিটাল স্কিলের সাইন ইন করতে জিমেইল অ্যাকাউন্ট আর পাসওয়ার্ড যথেষ্ট। তারপর একটু সময় নিয়ে ধীরে ধীরে সবকিছু দেখে নিজের মতো করে সাজিয়ে নেওয়া যাবে। মজার ব্যাপার, এই অসাধারণ শিক্ষাদানের মাধ্যমটি গুগল সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে দিচ্ছে সারা পৃথিবীর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য।
একটু সময় নিয়ে ‘অ্যাপ্লাইড ডিজিটাল স্কিল’ পেজটিকে ভালো করে পর্যালোচনা করলে আপনি হয়ে উঠতে পারেন একজন ডিজিটাল গৃহশিক্ষক। এতে প্রয়োজন হবে একটি আপডেটেড কম্পিউটার তখন সব ফিচার ইউজ করতে পারবে, আর শিক্ষাদান করা অনেক সহজ হয়ে যাবে। এটা মূলত ডিজাইন করা হয়েছে শ্রেণিশিক্ষকের জন্য। দক্ষতা ব্যবহার করে আপনি আপনার মতো ইউজ করতে পারেন এই ‘অ্যাপ্লাইড ডিজিটাল স্কিল।’