আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে অবশেষে পৃথিবীতে ফিরেছেন মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার চার নভোচারী। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার তাঁদের নিয়ে স্পেসএক্সের একটি ক্যাপসুল ফ্লোরিডা উপকূলে অবতরণ করে। বিকল্প ব্যবস্থায় প্রায় ২০ ঘণ্টার এ যাত্রায় মূল পোশাকের নিচে ডায়াপার পরেই আসতে হয়েছে তাঁদের।
গত ২৩ এপ্রিল স্পেসএক্সের নভোযানে এই চার নভোচারীকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাঠানো হয়। তাঁদের বহনকারী ক্যাপসুলটি মহাকাশে সর্বোচ্চ ২১০ দিন রাখার জন্য সনদপ্রাপ্ত। কিন্তু নভোযানের শৌচাগার অকেজো হয়ে পড়ায় বিকল্প ব্যবস্থায় নির্ধারিত সময়ের আগেই তাঁদের ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় নাসা।
সেপ্টেম্বরে প্রথমবার শৌচাগারটিতে ত্রুটি দেখা দেয়, ছিদ্র থাকায় ছড়িয়ে পড়ে মূত্র। স্পেসএক্সের নভোযান মহাকাশে গেলে একটি টিউব খুলে আসে, এরপর ফ্লোর বোর্ডের (কৃত্রিম মেঝে) নিচে মূত্র ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। প্রকৌশলীরা জানান, শৌচাগার থেকে ছড়িয়ে পড়া মূত্রে ক্যাপসুলের অন্যান্য অংশের ক্ষতি হয়নি।
বেশ কয়েক দফা মিটিং শেষে চার নভোচারীকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেন মিশন প্রধান। এরপর তাঁদের স্থলাভিষিক্ত করতে আরেক দল নভোচারী আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে পরবর্তী সে অভিযান এরই মধ্যে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে সপ্তাহখানেকের বেশি পেছানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় গত রোববার রাত ১১টা ৪ মিনিটে ওই নভোচারীদের বহনকারী ক্যাপসুল আইএসএস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। এরপর গতকাল বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৩৩ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মেক্সিকো উপসাগরে অবতরণ করেন চার নভোচারী আকিহিকো হোশিদে, টমাস পেসকে, মেগান ম্যাকআর্থার ও শেন কিমব্রো।
গত শুক্রবার মহাকাশ স্টেশন থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিয়ে নাসার নভোচারী মেগান ম্যাকআর্থার বলেন, ‘মহাকাশভ্রমণ ছোট ছোট অনেক চ্যালেঞ্জে পূর্ণ। এটা তেমনই আরেকটি, যা আমাদের মোকাবিলা করতে হবে এবং আমরা চালিয়ে নেব। তাই এটা নিয়ে আমরা তেমন চিন্তিত নই।’