মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম বিতর্কে দুই প্রার্থীর কর্মকাণ্ড দেখে পরবর্তী বিতর্কে নিয়মই পাল্টানো হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিতর্ক দেখভাল করে যে কমিশন, তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
গত মঙ্গলবার রাতে অনুষ্ঠিত প্রথম বিতর্কে অংশ নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন। সেই বিতর্কে দুই প্রার্থী তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন।বিনিময় হয় তিক্ত বাক্য। তাঁরা একে অপরকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বিশৃঙ্খল বিতর্ক হিসেবে এটি চিহ্নিত হবে বলে অনেকে মন্তব্য করছেন। শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, সারা বিশ্বের গণমাধ্যমে এই বিতর্ক নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। শঙ্কা তৈরি হয়েছে আগামী আরও দুই বিতর্ক নিয়ে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিতর্ক তত্ত্বাবধানকারী দ্য কমিশন অন প্রেসিডেনশিয়াল ডিবেটস (সিপিডি) কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো—কোনো প্রার্থী যদি অন্যের বক্তব্যের মাঝে কথা বলে বিরক্ত করার চেষ্টা করেন, তবে তাঁর মাইক্রোফোন বন্ধ করে দেওয়া হবে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাচনী শিবির ইতিমধ্যে কমিশনের এই পরিকল্পনার সমালোচনা করেছে।
সিপিডি এক বিবৃতিতে বলেছে, ভবিষ্যতে যে বিতর্কগুলো হবে, তাতে আলোচনা যেন আরও সুসংগঠিত হয়, তার জন্য নতুন ধরনের কাঠামো নির্ধারণ করতে হবে। এ ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কিছু পরিবর্তন আনার কথা ভাবা হচ্ছে।
মঙ্গলবারের বিতর্কে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বারবার জো বাইডেনের বক্তব্যে বাধার সৃষ্টি করেন। বাইডেন তাঁকে ‘ভাঁড়’ বলেও মন্তব্য করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সিএসবি নিউজ বলছে, দুই দিনের মধ্যে একটি নির্দেশিকা তৈরি করার জন্য কাজ শুরু করেছে কমিশন। এর মধ্যে প্রার্থীদের মাইক্রোফোন নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়টি প্রাধান্য পাচ্ছে।