ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী জো বাইডেন বলেছেন, ট্রাম্প একজন ‘বুলি’ বা খুদে গুন্ডা। এই রকম দুর্বৃত্ত সারা জীবনে তিনি অনেক দেখেছেন। অতএব তাঁকে দেখে ভয় পাওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। শুক্রবার সিএনএনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কথা বলেন।
জো বাইডেন বলেন, ‘বালক অবস্থায় আমি তোতলাতাম। তা দেখে যারা আমাকে ঠাট্টা করত, সেই সব খুদে গুন্ডার মুখ বরাবর আমি ঘুষি দিতাম। ট্রাম্প হলো সেই রকম একজন বুলি।’
২০১৬ সালের নির্বাচনী বিতর্কে ট্রাম্প প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটন যখন কথা বলছিলেন, সেই সময় তাঁর পেছনে দাঁড়িয়ে থেকে ভড়কে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। সে কথা স্মরণ করে বাইডেন বলেন, ‘আমার পেছনে একবার আসুক না, তাঁকে আমি দেখে নেব।’ রীতিমতো মুঠি উঁচু করে আঘাত হানার ভঙ্গি করে বাইডেন এ কথা বলেন।
শুক্রবার সাংবাদিকেরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বাইডেনের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি মাথা নেড়ে জানান, তিনি মোটেই একজন ‘বুলি’ নন। ‘তবে অন্য কোনো দেশ আমার কাছ থেকে অন্যায় সুবিধা আদায় করে নেবে, আমি তা মোটেই পছন্দ করি না।’
এক সপ্তাহ আগে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের বাছাইপর্বের প্রথম টিভি বিতর্কে ভালো ফল করতে ব্যর্থ হওয়ার পর সিএনএনের সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে জো বাইডেন ফের আলোচনার কেন্দ্রে ফিরে আসার চেষ্টা করছেন। সেই বিতর্কে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নির্বাচিত সিনেটর কমলা হ্যারিস আমেরিকার বর্ণ সমস্যা প্রশ্নে বাইডেনের অবস্থান নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছিলেন।
সিএনএনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বাইডেন হ্যারিসের সমালোচনা করলেও তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেননি। তিনি স্বীকার করেন, বিতর্কে সমালোচনার জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন, তবে হ্যারিস যেভাবে তাঁকে আক্রমণ করেন, তার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলেন না। তিনি স্মরণ করেন, তাঁর প্রয়াত পুত্র ও ডেলাওয়ারের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল বো বাইডেনের সঙ্গে কমলা হ্যারিসের ভালো সম্পর্ক ছিল। সে সময় তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন।
বিতর্কের পর প্রাথমিকভাবে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হলেও ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের মধ্যে জনমত জরিপে বাইডেন এখনো শীর্ষে রয়েছেন। তাঁর থেকে সামান্য ব্যবধানে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কমলা হ্যারিস।