মাত্র এক দিন আগে জো বাইডেন ডেমোক্রেটিক পার্টির বাছাই পর্বের নির্বাচনে নিজের প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন। এরই মধ্যে চারদিকে সাজ সাজ রব পড়ে গেছে। ডেমোক্রেটিক সমর্থকেরা বলছেন, ২০২০ সালে অনুষ্ঠেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাস্ত করার সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী হলেন জো বাইডেন।
এ কথার প্রমাণ মিলল প্রার্থিতা ঘোষণার প্রথম ২৪ ঘণ্টায় জো বাইডেনের পক্ষে তোলা তহবিলের পরিমাণ থেকে। এই অর্থের পরিমাণ ৬ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার, যা অন্য সব ডেমোক্রেটিক প্রার্থীর প্রথম ২৪ ঘণ্টার সংগৃহীত তহবিলের চেয়ে বেশি।
জনমত জরিপেও বাইডেনের প্রতি সমর্থনের প্রমাণ মিলেছে। তাঁর প্রার্থিতা ঘোষণার পর গৃহীত প্রথম জনমত অনুসারে, বাইডেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের তুলনায় ৬ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন। হ্যারিস পোল নামে পরিচিত এই জনমত জরিপ অনুসারে, ৪৩ শতাংশ আমেরিকান প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। ট্রাম্পের প্রতি সমর্থনের পরিমাণ ৩৭ শতাংশ।
ট্রাম্প নিজেও বাইডেনের ব্যাপারে কিঞ্চিৎ উদ্বিগ্ন। একাধিক সূত্র থেকে জানানো হয়েছে, বাইডেনের প্রার্থিতা ঘোষণার আগেই ট্রাম্প কীভাবে বাইডেনকে ঠেকানো যায়, সে ব্যাপারে তাঁর উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছেন। মুখে অবশ্য বলছেন, বাইডেনের ব্যাপারে তিনি মোটেই চিন্তিত নন। ইতিমধ্যে তিনি বাইডেনের জন্য একটি ডাকনামও খুঁজে পেয়েছেন—‘স্লিপি জো’ বা ঘুমকাতুরে জো। তাঁকে বৃদ্ধ বলেও একরকম উপহাস করেছেন ট্রাম্প। তাঁর নিজের বয়স ৭২ বছর, বাইডেনের ৭৬ বছর।
গতকাল শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প নিজেকে তরুণ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, ‘আমি একদম তরতাজা একজন তরুণের মতো বোধ করছি। আর জো বাইডেনের দিকে তাকিয়ে দেখুন। কী বলব, আমার বলার কিছু নেই।’ এ সময় কিছুটা বক্র হাসি দেন ট্রাম্প।
এক দিন আগে এক টুইটে বাইডেনকে ‘স্লিপি জো’ নামে অভিহিত করে ট্রাম্প বলেন, ডেমোক্রেটিক পার্টির বাছাইপর্বই পেরোতে পারবেন না বাইডেন। তাঁর সেই বুদ্ধিমত্তা নেই। নিজ দলের প্রার্থীরাই নোংরাভাবে তাঁকে আক্রমণ করবেন। তা সত্ত্বেও যদি বাইডেন দলের প্রার্থী হিসেবে উতরে যান, তাহলে খেলার মাঠে তাঁর সঙ্গে মুখোমুখি দেখা হবে।
ট্রাম্প যে তাঁকে ‘স্লিপি জো’ নামে অভিহিত করেছেন, এ বিষয়ে গতকাল এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন করা হলে বাইডেন হেসে বলেন, তাঁকে কেউ এই নামে অভিহিত করে বলে তিনি জানেন না। তিনি বলেন, ‘সব সময় তো শুনেছি উল্টোটাই, সবাই আমাকে ‘হাইপার জো’ বা অতি চঞ্চল জো নামে ডেকে থাকেন।’ তাঁকে সমালোচনা করে ট্রাম্পের টুইটের ব্যাপারে বাইডেন বলেন, ‘এতে অবাক হওয়ার কী আছে। এই লোকটাকে তো আমরা সবাই খুব ভালো করে চিনি।’
তাঁকে দেওয়া নামের জবাবে ট্রাম্পের জন্য কোনো ডাকনাম এখনো দেননি বাইডেন। তবে তাঁর হয়ে সে কাজটি করে দিয়েছেন ট্রাম্পের উপদেষ্টা কেলিঅ্যান কনওয়ের স্বামী জর্জ কনওয়ে। পরপর কয়েকটি টুইটে তিনি ট্রাম্পের নাম দিয়েছেন ‘ডিরেঞ্জড ট্রাম্প’ বা বিকারগ্রস্ত ট্রাম্প।