পুলিশি নির্যাতনে এক কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদে আমেরিকাজুড়ে চলা বিক্ষোভ দমনে সেনা অভিযান চালানোর হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের এ কাণ্ড বাকরুদ্ধ করে দিয়েছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিদিন কানাডার কোভিড–১৯ পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ সম্মেলন করেন ট্রুডো। গতকাল মঙ্গলবার সিবিসির এক সাংবাদিক ট্রাম্পের এই হুমকির বিষয়ে ট্রুডোর মতামত জানতে চান।এটা শুনে প্রায় ২০ সেকেন্ড বাকরুদ্ধ থাকেন ট্রুডো। ট্রাম্পের এ কাণ্ডের কী উত্তর হতে পারে, তা যেন তার মাথায় আসছিল না। অবশেষে মুখ খোলেন তিনি। বলেন, 'আমরা সবাই যুক্তরাষ্ট্রে কী ঘটছে, তা ভীতি ও হতাশা নিয়ে লক্ষ্য করছি। এখন শোনার সময়, এখন মানুষকে একত্রে টেনে নেওয়ার সময়। দশক ধরে অগ্রগতি সত্ত্বেও কী সব অবিচার অব্যাহত রয়েছে, তা জানার সময়।'
বিক্ষোভে ক্ষতিগ্রস্ত একটি গীর্জায় গিয়ে ছবি তুলতে যেতে চান ট্রাম্প। এজন্য হোয়াইট হাউসের বাইরে থাকা বিক্ষোভকারীদের সরাতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করেছে—এ বিষয়ে্রুডোর মতামত জানতে চান সিবিসির ওই প্রতিবেদক। এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রুডো ট্রাম্পের সমালোচনা করতে চান না বলে মনে হচ্ছিল।
২০১৮ সালের জুনে কুইবেকে জি সেভেন শীর্ষ সম্মেলন আসেন ট্রাম্প। এর পর থেকে দুই নেতার মধ্যে বেশ ভালো সম্পর্ক দেখা যায়। তবে উত্তর আমেরিকার মুক্ত বাণিজ্য আলোচনার সমাপ্তিতে গত বছর এ সম্পর্কে কিছুটা ফাটল ধরে।
গতকাল ট্রুডোর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মনে হয়েছে, তিনি বলতে চেয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদবিরোধী আরও পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। তিনি অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যে তুলনা করার বিষয়েও সতর্ক ছিলেন। ট্রুডো বলেন, 'আমরা এখানে অনেক ভালো আছি।'