মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিশংসনের মুখোমুখি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা জ্যেষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তা মাইকেল এটকিনসনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গতকাল শুক্রবার নিজেই এ ঘোষণা দেন। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে আজ শনিবার এ কথা জানানো হয়েছে।
সিনেট ইনটেলিজেন্স কমিটিতে পাঠানো চিঠিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, মার্কিন ইনটেলিজেন্স কমিউনিটি বোর্ডের স্বাধীন মহাপরিদর্শক মাইকেল এটকিনসনের ওপর তিনি আস্থা হারিয়েছেন। কমিটির শীর্ষস্থানীয় দুজন সিনেটর রিচার্ড বুর ও মার্ক ওয়ার্নারকে লেখা চিঠিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘এই মহাপরিদর্শকের ওপর আমার পূর্ণ আস্থা ছিল। এখন আর সেটি নেই। তাঁকে এ পদে আর রাখা হচ্ছে না।’ তবে এর কোনো কারণ তিনি ব্যাখ্যা করেননি।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০১৮ সালে এটকিনসনকে এই পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের আইন লঙ্ঘন করে ব্যক্তিগত রাজনৈতিক স্বার্থে ইউক্রেনের কাছ থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প সুবিধা নিয়েছেন—এমন একটি অভিযোগে গত বছরের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে বেশ হইচই পড়ে যায়। পরে তাঁকে অভিশংসনের মুখোমুখি হতে হয়। এ কাজে মাইকেল এটকিনসন কলকাঠি নেড়েছেন বলে ট্রাম্প মনে করেন।
ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন অভিযোগ তোলেন, চলতি বছরের নির্বাচনে ট্রাম্পের হয়ে কাজ করার বিনিময়ে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা বাড়িয়ে দিতে সম্মত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট। বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য বিচার বিভাগ ও কংগ্রেসের কাছে পাঠান ৫৫ বছর বয়সী এটকিনসন। শুধু তা-ই নয়, হোয়াইট হাউস যখন এ বিষয়ে কোনো ধরনের তথ্য-প্রমাণ না দিতে অন্য বিভাগগুলোকে নির্দেশ দেয়, তখন ইনটেলিজেন্স কমিটির তদন্তের শুনানিতে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন এটকিনসন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত জানুয়ারিতে ট্রাম্পের অভিশংসনের বিষয়টি সিনেটে ওঠে। তবে রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনেট গত ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে এ অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি দেয়।
ডেমোক্র্যাট সিনেটর মার্ক ওয়ার্নার বলেন, দেশের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে রাজনীতিকরণের চলমান পদক্ষেপের একটি নমুনা এটি। কোনো একক ব্যক্তির স্বার্থ দেখা নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর কাজ নয়, তারা তাদের কাজের জন্য দেশ ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ।