নিউইয়র্ক নগরের কুইন্সের জ্যামাইকায় ১৪৪-০১ লিবার্টি অ্যাভিনিউয়ে ডানকিন ডোনাট কফি স্টোরে গত ২৯ এপ্রিল ভোরে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। রাতের শিফটে নিশাত নামের একজন বাংলাদেশি যুবক সে সময় কর্মরত ছিলেন। নিশাত শিফট অনুযায়ী ভোর ৬টা পর্যন্ত কাজ করেন।
ভোর ৫টার দিকে একজন কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ এসে এক ডলারের ডোনাট চায়। এ সময় দায়িত্বরত নিশাত মোড় নিয়ে ডোনাট হাতে নিতেই ওই তরুণ ক্যাশ কাউন্টারে ঢুকে পড়ে। তার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে বলে সে নিশাতকে ক্যাশ বাক্স খুলতে বলে। অন্যথায় প্রাণে মারার হুমকি দেয়। নিশাত ক্যাশ খোলামাত্র ঝাপটে সব অর্থ নিয়ে তরুণটি মুহূর্তেই পালিয়ে যায়। অন্যান্য দিনের ন্যায় এদিনও ভোর থেকে গ্রাহকের ভিড় বাড়ছিল। গ্রাহকদের মূল দরজায় ঢুকতে দেখে কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ তাড়াহুড়া করে যা পেয়েছে, তা নিয়েই পালিয়ে গেছে।
কর্মরত নিশাত পুলিশকে ইমারজেন্সি কল করেন। পুলিশ আসার পর স্টোরের সি সি ক্যামেরা চেক করে দ্রুত পালিয়ে যাওয়া যুবককে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়ি জ্যামাইকার আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালায়। স্টোর থেকে পাঁচ ব্লক দূরে সাটফিন বুলেভার্ড থেকে কৃষ্ণাঙ্গ সেই যুবককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
ডানকিন ডোনাটের এই স্টোরে সবাই বাংলাদেশি কর্মী। দিনের শিফটে নারীরা কাজ করেন। অধিকাংশ কর্মীই পাশাপাশি এলাকায় বসবাস করেন।
ডাকাতির সময় নিশাত একা ছিল, ডাকাত কৃষ্ণাঙ্গ যুবকও একা ছিল। তার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে বলে নিশাতকে হুমকি দেয়। বুদ্ধিমান কর্মী নিশাত কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে ডাকাতের নির্দেশ পালন করেন। এমন পরিস্থিতে এমন পদক্ষেপই বুদ্ধিমানের কাজ বলে বিবেচনা করা হয়।