ব্যথানাশকের অতিব্যবহার

জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করবেন ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল ছবি
ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল ছবি

নিউইয়র্কসহ পুরো আমেরিকায় ব্যথানাশকের অতিব্যবহার মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে। এটি এমন মাত্রায় গিয়ে পৌঁছেছে যে, একে জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থা হিসেবে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য ও জনসেবা মন্ত্রণালয়কে সম্প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ব্যথানাশকের অতিব্যবহার বর্তমানে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। বিশেষত তরুণেরা বিভিন্ন বৈধ ব্যথানাশককে মাদকের মতো ব্যবহার করছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হেরোইনের মতো ভয়াবহ মাদক। এ সংকট নিউইয়র্ক শহরে চরম আকার ধারণ করেছে। মহামারিতে রূপ নেওয়া এ সংকটকে স্বীকার করে নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন একে ‘পাবলিক হেলথ ইমারজেন্সি’ হিসেবে ঘোষণা করতে যাচ্ছে বলে নিউইয়র্ক টাইমসকে নিশ্চিত করেছেন হোয়াইট হাউসের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা।
শুধু ২০১৬ সালেই পুরো আমেরিকায় ব্যথানাশক ও মাদকের অতিব্যবহারে মারা গেছে ৫৯ হাজার মানুষ। চলতি বছরেও এ সংকট অব্যাহত রয়েছে। কোনো ক্ষেত্রে মাত্রা বেড়েছে বরং। বিশেষত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও তরুণদের মধ্যে এ সংকট ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। এ অবস্থাকে জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করে শিগগিরই তা প্রতিরোধে ফেডারেল সরকারগুলোকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।
প্রেসিডেন্টের গৃহীত এ উদ্যোগে ব্যথানাশকের অপব্যবহার রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিস্তৃত পরিসরে পদক্ষেপ গ্রহণে সক্ষম হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় বিধি প্রণয়ন ও তা কার্যকরেও উদ্যোগ নিতে পারবে অঙ্গরাজ্যগুলো। তবে এ সংকট মোকাবিলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণাকে যথেষ্ট মনে করছেন না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তাদের মতে, ব্যথানাশকের অপব্যবহার এমন একপর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে শুধু জরুরি অবস্থা ঘোষণা একটি দায়সারা পদক্ষেপ। এ সংকট মোকাবিলার জন্য প্রয়োজন তহবিলের। কিন্তু প্রশাসন এ বিষয়টিকে এড়িয়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রেও ব্যয় সংকোচন করতে চাচ্ছে প্রশাসন, যা সংকট মোকাবিলায় আন্তরিকতার অভাবকেই দৃশ্যমান করে। এ ছাড়া কোনো সুনির্দিষ্ট কৌশলও ঘোষণা করা হয়নি এখনো।
তবে এত ঘাটতির পরও জরুরি অবস্থা ঘোষণায় নেওয়া ট্রাম্পের এ পদক্ষেপকে বড় একটি অগ্রগতি হিসেবেই দেখছেন মাদকবিরোধী সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা। তাদের মতে, এ পদক্ষেপের সঙ্গে টেলিমেডিসিন কার্যক্রম ও ফেডারেল তহবিলের পরিসর বাড়ানো হলে উদ্যোগটি সফল হবে। এর সঙ্গে কঠোর বিধি প্রণয়ন ও তা কার্যকরে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণেরও পরামর্শ
দেন তারা। একই সঙ্গে মাদকের
প্রভাব রোধে কার্যকর ওষুধ নেলোক্সোনের দাম কমানোরও প্রস্তাব উত্থাপন করেন তারা।