ঘূর্ণিঝড় আইডায় লুইজিয়ানায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যে এখনো তাণ্ডব চালাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আইডা
ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যে ঘূর্ণিঝড় আইডার কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। লুইজিয়ানার অনেক অঞ্চল বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অঙ্গরাজ্যটি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে কয়েক হাজার মানুষকে। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।

স্থানীয় সময় গতকাল রোববার মেক্সিকো উপকূল দিয়ে এসে আছড়ে পড়ে আইডা। এ সময় এর গতি ছিল ঘণ্টায় ১৫০ মাইল। আইডাকে ‘চার ক্যাটাগরির’ ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। তবে এখন ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে ‘দুই ক্যাটাগরিতে’ পরিণত হয়েছে বলে রোববার জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচএস)। ঝড়ের গতি কমে ১১০ মাইলে দাঁড়িয়েছে। এই মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড়টি লুইজিয়ানার রাজধানী ব্যাটন রুজ থেকে ৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ–পূর্বে অবস্থান করছে।

ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রে ২০০৫ সালে হারিকেন ক্যাটরিনার আঘাতে ১ হাজার ৮০০ মানুষ মারা যায়। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আইডায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ওই রকমই হবে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যারা এখনো সেখানে রয়ে গেছে, তাদের ঘূর্ণিঝড় শেষ হওয়া পর্যন্ত নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে বলেছে কর্তৃপক্ষ।

ঘূর্ণিঝড়ের জেরে লুইজিয়ানার ৭ লাখ ৫০ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ নেই অঙ্গরাজ্যটির নিউ অরলিন্স শহরের কোথাও। আপৎকালীন অবস্থায় জেনারেটরের মাধ্যমে সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, এ অবস্থা স্বাভাবিক হতে কয়েক সপ্তাহ সময় লেগে যাবে।

লুইজিয়ানার গভর্নর জন বেল এডওয়ার্ডস বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

এবারের ঘূর্ণিঝড়ে বেশি সংকটের মধ্যে রয়েছে লুইজিয়ানার হাসপাতালগুলো। এর আগে এ ধরনের বিপর্যয়ের সময় হাসপাতালগুলো থেকে রোগীদের সরিয়ে নেওয়া হতো। তবে এবার করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে পরিস্থিতি ভিন্ন। রোগীর চাপে হাসপাতাল এখনো প্রায় ভর্তি। তাদের সরিয়ে নেওয়ার মতো কোনো জায়গা নেই বলে জানিয়েছেন গভর্নর জন বেল এডওয়ার্ডস।