যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গুয়ানতানামো বে কারাগার বন্ধ করতে পারেন। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার জানান, বাইডেন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় রয়েছে গুয়ানতানামো বে কারাগার। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে তিনি জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের সীমানার বাইরে এই কারাগারে জঙ্গি সন্দেহে মানুষকে বন্দী করা হয়। তাদের ওপর নানা নির্যাতন চলে। গুয়ানতানামো বে কারাগারে বন্দী নির্যাতন নিয়ে সমালোচনাও রয়েছে।
২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গুয়ানতানামো কারাগার চালু রাখার ঘোষণা দেন। সে সময় ট্রাম্প বলেন, মন্দ লোকজনকে দিয়ে কারাগারটি ভর্তি করা হবে। জর্জ বুশের সময় থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মার্কিন গোয়েন্দারা জঙ্গি সন্দেহে লোকজনকে আটক করে করে এই কারাগারে রেখেছেন। এখনো সেখানে ৪০ জন বন্দী আটক থাকার কথা জানা যায়। এর মধ্যে ২৬ জনকে ভয়ংকর জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করেছে মার্কিন প্রশাসন।
৯/১১-এর পরবর্তী সময়ে ‘জঙ্গিদের’আটক রাখতে ২০০২ সালের জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ এই কারাগার চালু করেন। দক্ষিণ কিউবায় অবস্থিত মার্কিন সেনাঘাঁটিতে কারাগারটি অবস্থিত। ১৯০৩ সালের হাভানা চুক্তির আওতায় কিউবা থেকে ইজারা নিয়ে মার্কিন এই ঘাঁটি তৈরি করা হয়েছিল। কারাগারটি চালু করার পর থেকে বেশ দ্রুত এর কুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে সারা দুনিয়ায়। খাঁচার ভেতর বেড়ি ও হাতকড়া পরা কয়েদিদের ছবি প্রকাশিত হওয়ার পর এই কারাগার ঘৃণার প্রতীক হিসেবে পরিচিত হয় মানুষের কাছে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই কারাগার বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু কংগ্রেসের বাধার কারণে তাঁর উদ্যোগ আংশিক ব্যাহত হয়। ওবামার সময়ে টানা আট বছর ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেন প্রশাসন এই কারাগার বন্ধের ঘোষণা দিতে পারে।