কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (সিডিএফ) দাবি করেছে, তাদের এক গুপ্তচরের মাধ্যমে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদিকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছিল। তাঁদের ওই চর আল-বাগদাদির অন্তর্বাস চুরি করে এনেছিল, যা থেকে পরে ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। গত শনিবার মার্কিন বাহিনীর অভিযানের সময় আইএস প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়।
সিডিএফের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার পোলাট ক্যান দাবি করেন, সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর অভিযান চালানোর আগের আইএস নেতার অবস্থান শনাক্ত করতে তাঁদের সোর্সও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
অবশ্য কুর্দি বাহিনীর ভূমিকাকে গুরুত্বহীন বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে গত ২৭ অক্টোবর অভিযানের বিষয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, কুর্দিরা ‘সহায়ক’ তথ্য সরবরাহ করেছে। কিন্তু তারা অভিযানে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেনি।
টুইটার পোস্টে গত সোমবার পোলাট ক্যান জানান, ওই অভিযানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল সিডিএফ।
ক্যান বলেন, গত ১৫ মে থেকে বাগদাদির অবস্থান শনাক্ত করার জন্য মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এর সঙ্গে কাজ করে আসছিল। শেষ পর্যন্ত ইদলিব প্রদেশ তাঁর লুকিয়ে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। পরে সেখানে অভিযান পরিচালিত হয়।
ওই সোর্স জানিয়েছিল, আইএসের নেতা জারাবালসে নতুন এক জায়গায় স্থানান্তরের কথা ভাবছিলেন।
আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মার্কিন বাহিনীর ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে কাজ করছে এসডিএফ। তবে এ মাসের শুরুতে ট্রাম্প উত্তর সিরিয়া থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহার করলে তুরস্ক ওই অঞ্চলে সীমানা পেরিয়ে আক্রমণ চালানোর সবুজ সংকেত পাবে।
বাগদাদির আসল নাম ছিল ইব্রাহিম আওওয়াদ ইব্রাহিম আল-বদরি। সংগঠিত ও নির্মম যুদ্ধক্ষেত্রের কৌশল ভালো জানা ছিল তাঁর। উত্তর বাগদাদের অদূরে সামারা এলাকায় ১৯৭১ সালে জন্মগ্রহণ করেন বাগদাদি। ২০১৪ সালে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস যখন ইরাকের মসুল শহর দখলে নিয়েছিল, তখন নিজেকে আইএসের মুখপাত্র হিসেবে ঘোষণা করেন তিনি।