বিচিত্র

গাউন পরে সমাবর্তনে বিড়াল

কালো–হলুদ গাউন ও টুপি পরে ফ্রান্সেসকা বৌরদিয়ার সঙ্গে বিড়াল সুকি
ছবি: সংগৃহীত

পরনে কালো–হলুদ গাউন, মাথায় একই রঙের টুপি। এভাবেই সমাবর্তনে অংশ নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। একই পোশাক ছিল সুকিরও। কিন্তু আলাদা করে নজর কেড়েছে সে। কারণ, সুকি মানুষ নয়, বিড়াল। যেন সুকিও এই আয়োজনে সম্মাননা নিতে এসেছে।

ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি গতকাল রোববার এক প্রতিবেদনে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট অস্টিনে পড়াশোনা করেছেন ফ্রান্সেসকা বৌরদিয়ার নামের এক তরুণী। তাঁর পোষা বিড়াল সুকি। করোনাকালে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় বাড়িতে বসে টানা অনলাইনে ক্লাস করতে হয়েছে ফ্রান্সেসকাকে। তবে তিনি একা ক্লাস করেননি। প্রতিটি অনলাইন ক্লাসে তাঁর সঙ্গে দেখা গেছে সুকিকে। বাদ যায়নি পরীক্ষার সময়ও।

ক্লাস চলার সময় সুকিও রীতিমতো ফ্রান্সেসকার সহপাঠীদের বন্ধু হয়ে উঠেছিল। সম্প্রতি স্নাতক শেষ হয়েছে ফ্রান্সেসকার। এখন আর ক্লাস–পরীক্ষার জন্য স্ক্রিনের সামনে বসতে হয় না। তবে সুকিকে ভুলে যায়নি কেউ। সম্প্রতি ফ্রান্সেসকার সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে হাজির ছিল সুকিও।

ওই আয়োজনের কিছু ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করেছেন ফ্রান্সেসকা। এতে দেখা যায়, মালিকের কোলে চেপে সমাবর্তনে হাজির সুকি। মালিকের মতো সে–ও কালো ও হলুদ রঙের মিশেলে গাউন আর টুপি পরেছে। ক্যাপশনে ফ্রান্সেসকা লিখেছেন, ‘আমার বিড়াল (সুকি) প্রতিটি অনলাইন ক্লাসে উপস্থিত ছিল। তাই আজকে আমরা একসঙ্গে সমাবর্তনে অংশ নিয়েছি।’

অনলাইনে অর্ডার করে সুকির জন্য একদম নিজের পোশাক–টুপির মতো দেখতে অনুষঙ্গ কিনে দিয়েছিলেন ফ্রান্সেসকা। সমাবর্তনে সুকিকে কোলে নিয়ে মজা করেছেন, ছবি তুলেছেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব ছবি–ভিডিও বেশ সাড়া ফেলেছে। অনেকেই বিড়ালটির এই ‘অর্জন’ ও পোশাকের প্রশংসা করেছেন। অনেকে ফ্রান্সেসকা ও সুকিকে একসঙ্গে ‘স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করায়’ অভিনন্দন জানান। অন্যদিকে ফ্রান্সেসকা মজা করে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার চোখে সে (সুকি) বিশেষ স্নাতক।’