বাংলাদেশ সরকার ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি নবায়ন করে অববাহিকাভিত্তিক সমন্বিত আঞ্চলিক নদী ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়া শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির (আইএফসি) নেতৃবৃন্দ। ফারাক্কা লং মার্চের ৪৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ৪৩ বছর আগে ফারাক্কা বাঁধ অভিমুখে লং মার্চ করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে বিভিন্নভাবে এর যৌক্তিকতা প্রমাণিত হয়েছে। ভারতের বিহার সরকার সম্প্রতি ফারাক্কা বাঁধ ভেঙে দেওয়ার দাবি তুলেছে। ভারতের পানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাঁধ নির্মাণ করে স্বাভাবিক প্রবাহ বিঘ্নিত করায় কাবেরী ও সবরমাটি নদী শুকিয়ে গেছে। একই ভাগ্য বরণ করতে চলেছে গঙ্গা নদীও। নদী বাঁচিয়ে রাখতে হলে এর প্রবাহকে মুক্ত রাখার কোনো বিকল্প নেই। বহু পুরোনো এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য গঙ্গা অববাহিকাভিত্তিক ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
আইএফসির পক্ষে আইএফসি নিউইয়র্কের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান সালু ও মহাসচিব সৈয়দ টিপু সুলতান, আইএফসি বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমাদ, সিনিয়র সভাপতি ড. এস আই খান, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইরফানুল বারী ও আইএফসি সমন্বয়ক মোস্তফা কামাল মজুমদার যৌথভাবে এ বিবৃতি দেন।
উল্লেখ্য, সীমান্তের ১১ মাইল দূরে ফারাক্কা বাঁধ থেকে গঙ্গা নদীর গতি পরিবর্তন করায় বাংলাদেশের নদী শুকিয়ে যে বিশাল পরিবেশগত বিপর্যয় দেখা দেয়, ফারাক্কা লং মার্চ ছিল তার বিরুদ্ধে প্রথম সফল গণপ্রতিবাদ। মজলুম জননেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে ১৯৭৬ সালের ১৬ মে আয়োজিত এ লং মার্চ রাজশাহীর মাদ্রাসামাঠ থেকে শুরু হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে গিয়ে শেষ হয়। সেদিন সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ ১০০ মাইল দীর্ঘ এ লং মার্চে অংশ নেন।