মেক্সিকো হয়ে যে হাজার হাজার অবৈধ বহিরাগত আমেরিকার দক্ষিণ সীমান্তে ভিড় জমিয়েছে, তাদের আগমন ঠেকাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মেক্সিকো থেকে রপ্তানি করা সব পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন। মেক্সিকো বহিরাগত ব্যক্তিদের আগমন ঠেকাতে সম্মত না হলে আগামী সোমবার থেকেই এই নির্দেশ কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
এর ফলে অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটবে, এই যুক্তিতে ট্রাম্পের দলের সদস্যরাই তাঁর সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছিলেন। শেয়ারবাজারেও অস্থিরতা শুরু হয়েছিল।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় জানা গেল, দুই পক্ষ একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে, ফলে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ হচ্ছে না। ট্রাম্প নিজে এক টুইটে খবরটি জানান।
সমঝোতা অনুসারে, মেক্সিকো তার দেশের দক্ষিণ সীমান্তে অতিরিক্ত ছয় হাজার নিরাপত্তাপ্রহরী নিয়োগ করবে। বহিরাগত ব্যক্তিরা যাতে সীমান্ত ডিঙিয়ে আশ্রয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দিকে এগোতে না হতে পারে, নিরাপত্তাপ্রহরীরা তা নিশ্চিত করবেন। এই চুক্তি অনুসারে, বহিরাগত ব্যক্তিদের অ্যাসাইলাম বা আশ্রয় আবেদন চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত মেক্সিকোতে অবস্থানের যে ব্যবস্থা এই বছর জানুয়ারি থেকে চালু হয়, তা আরও সম্প্রসারিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তের ভেতরে ঢোকার পর আশ্রয় প্রার্থনা করেছে—এমন বহিরাগত ব্যক্তিদের মেক্সিকোতে জোরপূর্বক ফেরত পাঠানোর ব্যাপারেও ঐকমত্য অর্জিত হয়েছে।
মেক্সিকো যে এত সহজে তার দাবি মেনে নিয়েছে, সে জন্য ট্রাম্প সব কৃতিত্ব দাবি করেছেন।
ট্রাম্পের ২০২০ ক্যাম্পেইনের মুখপাত্র ম্যাচ বুকিং বলেছেন, পুরো ওয়াশিংটন যখন উল্টো কথা বলছে, তখন সে কথায় কান না দিয়ে ট্রাম্প ঠিকই তাঁর দাবি আদায় করে এনেছেন। রীতিমতো নায়কোচিত কাজ, মন্তব্য করেছেন আরেক রিপাবলিকান নেতা।
তবে ডেমোক্রেটিক নেতা সিনেটর চাক শুমার কিছুটা শ্লেষের সঙ্গে মন্তব্য করেছেন, ‘মেক্সিকোর সঙ্গে চুক্তি করে অভিবাসন সমস্যা মিটিয়ে ফেলেছেন ট্রাম্প। তাহলে আশা করি, এরপর এ নিয়ে তিনি আর উচ্চবাচ্য করবেন না।’