কুলাউড়া অ্যাসোসিয়েশন অব নিউজার্সির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে নিউজার্সিতে বসবাসকারী কুলাউড়াবাসীর বার্ষিক বনভোজন ও ঈদ পুনর্মিলনী। নিউজার্সির প্যাটারসনে গ্যারেট মাউন্টেন হিলে ২৫ আগস্ট এ অনুষ্ঠান হয়।
বনভোজনে চার শতাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। ২৫ আগস্ট বেলা ১১টায় বনভোজনের উদ্বোধন করেন অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা সৈয়দ জুবায়ের আলী, কাউন্সিলম্যান শাহিন খালিক, সভাপতি রাজা মিয়া তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোদাব্বির চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার ডিস্ট্রিক্ট অ্যাসোসিয়েশন অব নিউজার্সির সভাপতি সেলিম চৌধুরী, আনহার মিয়া ও অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাবৃন্দ। নাশতা শেষে শুরু হয় খেলাধুলা, যা চলে দিনব্যাপী। মাঝে বিরতি দিয়ে সম্পন্ন হয় মধ্যাহ্নভোজ। বিভিন্ন খেলার মধ্যে ছিল নারীদের মিউজিক্যাল পিলো, মিউজিক্যাল চেয়ার ও অন্ধের হাঁড়ি ভাঙা খেলা। ছেলে-মেয়েদের জন্য ছিল আলাদা ১০০ ও ৫০ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতা। বড়দের জন্য ছিল ভলিবল, ফুটবল, দড়ি টানাটানি ও ২০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতা।
প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে সবার জন্য কুইজ প্রতিযোগিতায় তিনজনকে পুরস্কার দেওয়া হয়। দিনব্যাপী বনভোজনে কুলাউড়াবাসী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলম্যান শাহীন খালিক, সাবেক কাউন্সিলম্যান মো. আখতারুজ্জামান, কমিশনার সামরান, কমিশনার ইমরান হোসেন, প্রসপেক্ট পার্ক সিটির বোর্ড অব এডুকেশনের কমিশনার আবুল হোসেন, শামিম আহমদ, সুজন আহমদ, রুহেল আহমদ, ওয়েস চৌধুরী, মুনিম খালিক, হীমেল চৌধুরী, শাহীন মোহাম্মদ প্রমুখ।
পুরস্কার বিতরণীর আগে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয় কুলাউড়া অ্যাসোসিয়েশনের নব নির্বাচিত কার্যকরী পরিষদের কর্মকর্তাদের। উপদেষ্টা সৈয়দ জুবায়ের আলী কার্যকরী কমিটির সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেন। খেলাধুলায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পুরস্কার দেওয়া হয়। পরে অনুষ্ঠিত হয় র্যাফেল ড্র। এবারের র্যাফেল ড্রতে প্রথম পুরস্কার ছিল ৫০ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি। দ্বিতীয় পুরস্কার ছিল ঝুমকো কানের দুল। এ ছাড়া ল্যাপটপ থেকে শুরু করে বাইসাইকেল, ট্যাব, টেবিল ফ্যানসহ মোট ১১টি পুরস্কার দেওয়া হয় র্যাফেল ড্রতে। এসব পুরস্কার দেওয়া হয় ফয়সাল মোস্তফা, গোলাম ইস্পাহানী, আলমগীর কবির, নয়াবাজার সুপার মার্কেট, আল-মদিনা গ্রোসারি, ফখরুল ইসলাম তালুকদার, আনোয়ার চৌধুরি পারেক, জালাল মিয়া প্রমুখের সৌজন্যে দেওয়া হয়।