কিশোরের হাতে স্টিয়ারিং, জীবন বাঁচল দাদির

গাড়িতে পি জে ব্রাউয়ার–লে
 ছবি: সংগৃহীত

বয়সের ভারে নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন অ্যাঞ্জেলা ব্রাউয়ার–লে। তাই শরীর ঠিক রাখতে প্রতিদিনের মতো হাঁটতে বের হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। আশপাশে তেমন মানুষ ছিল না। ওই রাস্তায় দিয়েই যাচ্ছিল তাঁরই ১১ বছরের নাতি পি জে ব্রাউয়ার–লে। দাদিকে অসুস্থ অবস্থায় দেখে তাঁকে গাড়িতে নিয়ে বাড়ি ফেরে সে। এতে প্রাণে বেঁচে যান দাদি। গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের ইন্ডিয়ানাপোলিসে এই ঘটনা ঘটেছে। দাদির জীবন বাঁচিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে মাত্র ১১ বছর বয়সী এই কিশোর।

দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট ও এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বাসা থেকে মার্সিডিজ গাড়িতে করেই বের হয়েছিলেন অ্যাঞ্জেলা। প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে গিয়ে গাড়িটি থামিয়ে হাঁটতে শুরু করেন তিনি। এ সময় রক্তের গ্লুকোজ অস্বাভাবিক মাত্রায় কমে যায় তাঁর। ফলে চোখে কম দেখা শুরু করেন। শুরু হয় মাথা ঝিমুনিও। মাটিতে পড়ে যাওয়ার মুহূর্তে সড়ক নির্দেশনার খুঁটি ধরে দাঁড়িয়ে পড়েন তিনি। রাস্তা দিয়ে গো-কার্ট গাড়ি করে যাচ্ছিল পি জে ব্রাউয়ার–লে। দাদির এই অবস্থা দেখে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর কাছে যায় সে। আর একটু দেরি হলেই হয়তো মাটিতে পড়ে যেতেন তিনি। হয়তো জীবন বাঁচানোই কষ্টকর হয়ে যেত।

নাতির এই কাজে খুবই উচ্ছ্বসিত অ্যাঞ্জেলা। বৃহস্পতিবার স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সে আমার অসুস্থতার বিষয়টি লক্ষ করেছিল। আমি যখনই মাটিতে পড়ে যাচ্ছিলাম, তখন সে এসে আমাকে ধরে ফেলে।’ তিনি বলেন, ‘আমি আমার ক্ষীণদৃষ্টিতেই দেখতে পারছিলাম, পি জে ব্রাউয়ার তার গো-কার্ট গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিল। আমাকে অসুস্থ অবস্থায় দেখে সে খুবই শান্তভাবে আমার দিকে এগিয়ে আসে। পরে আমাকে আমার মার্সিডিজ গাড়িতে করে নিয়ে বাড়ি ফেরে। আমার বাড়িতে আসার রাস্তা সরু হলেও গাড়ি চালিয়ে আসতে তার সমস্যা হয়নি।’

অ্যাঞ্জেলা বলেন, ১১ বছরের এক শিশু যেভাবে গাড়ি চালাচ্ছিল, মনে হচ্ছিল সে একজন পাকা চালক। সে চার চাকার গো–কার্ট গাড়ি চালাত বেড়ানোর জন্য। তিনি বলেন, পি জে ব্রাউয়ারের এটাই প্রথম গাড়ি চালানোর ঘটনা নয়। মাঝেমধ্যে অন্য কারোর গাড়ি নিয়ে চালাত সে। তবে তার দাদা তাকে গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই গাড়ি চালিয়ে তাঁর জীবন বাঁচাল সে। পি জেই তাঁকে বাড়িতে পৌঁছে দেয় এবং কিছু গ্লুকোজ বড়ি খাইয়ে দেয়। সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত সে অপেক্ষা করে।