বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য প্রিমিয়াম ফিস অ্যান্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান কল্লোল আহমদ ও তার স্ত্রী মারুফা আহমদকে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) হিসেবে ঘোষণা করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ১০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ‘বাংলাদেশের শিল্পক্ষেত্রে সরাসরি বিনিয়োগকারী অনাবাসী বাংলাদেশি’ হিসেবে ২০১৮ সালের জন্য কল্লোল আহমদকে সিআইপি হিসেবে মনোনীত করা হয়। উল্লেখিত বছরে এই ক্যাটাগরিতে তিনিই একমাত্র সিআইপি। এ ছাড়া কল্লোল আহমদের স্ত্রী মারুফা আহমদকে ‘বিদেশে বাংলাদেশি পণ্য আমদানিকারক অনাবাসী বাংলাদেশি’ হিসেবে সিআইপি মনোনীত করা হয়।
সিলেট নগরের হাউজিং এস্টেট এলাকার বাসিন্দা কল্লোল আহমদ ও মারুফা আহমদ দম্পতি দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। তাদের মালিকানাধীন প্রিমিয়াম ফিস অ্যান্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ দীর্ঘদিন থেকেই ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি বিভিন্ন খাদ্যপণ্য সুনামের সঙ্গে বাজারজাত করে আসছে। দীর্ঘদিন বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে অবদানের মূল্যায়ন স্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাঁদের সিআইপি মনোনীত করে।
সিআইপি নির্বাচিত হওয়ায় এই দম্পতি আগামী এক বছর যেসব সুবিধা পাবেন তার মধ্যে রয়েছে, আগামী এক বছর সরকারের দেওয়া পরিচয়পত্র দেখিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশ করার সুযোগ পাবেন। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। দেশে-বিদেশে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অগ্রাধিকার পাবেন। বিজয় দিবস, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, একুশে ফেব্রুয়ারি, আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলোতে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাবেন।
এ ছাড়া প্রবাসী সিআইপিরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মতোই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেল, সড়ক ও জলযানে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার পাবেন। সিআইপিদের স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। এ ছাড়া বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ চামেলি ব্যবহার ও স্পেশাল হ্যান্ডেলিংয়ের সুবিধা পাবেন।