অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ঠেকাতে নীতি বাস্তবায়নের ওপর আবারও জোর দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এবার বৈধ কাগজপত্র নেই—এমন অভিবাসনপ্রত্যাশী বাবা-মায়ের কাছ থেকে সন্তানদের আর বিচ্ছিন্ন করা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর ভাষ্য, যেভাবে সন্তানদের নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার ঘটনা ঘটছে, তাতে মনে হয় যেন তারা (অভিবাসনপ্রত্যাশীরা) ‘ডিজনিল্যান্ড’ ভ্রমণে বেরিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ট্রাম্প।
গত বছর অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সন্তানদের পৃথক করে রাখার পদক্ষেপ বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। রাজনৈতিক ও আইনি চাপে গত বছরের জুন মাসে এ প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। তবে ট্রাম্পের মতে, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে অবৈধ অভিবাসীর ঢল ঠেকাতে সেটি বেশ কার্যকর পদক্ষেপ ছিল।
গতকাল সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘এটা না থাকার কারণে আরও অনেক বেশি লোক আসছে। তারা এমনভাবে আসছে যেন এটা পিকনিক। যেন চল ডিজনিল্যান্ড যাই।’ তিনি আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে শিশুদের এভাবে পৃথক করা হতো। যে খাঁচায় শিশুদের রাখতে দেখা গেছে, সেসব খাঁচায় রাখা হতো। তিনি মনে করেন, ওবামা প্রশাসন যা করেছিল, তা ঠিক ছিল না।
ট্রাম্প বলেন, ‘আপনারা সবাই ভালো জানেন, আমিই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি এটা (অবৈধ অভিবাসন) বন্ধ করতে পারি।’
সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অভিবাসীর প্রবেশ বন্ধের ইস্যুটি ছিল গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের নির্বাচনী অঙ্গীকার। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে অবৈধ অভিবাসীর বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই এখন আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশটির বড় রাজনৈতিক লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁর দল রিপাবলিকান সীমান্তজুড়ে শত শত মাইল দেয়াল নির্মাণ করতে চাইছে। ট্রাম্পের মতে, যুক্তরাষ্ট্র এখন ‘পরিপূর্ণ’, তারা আর অভিবাসী নিতে পারবে না। মধ্য আমেরিকায় সহিংসতার শিকার হয়ে মানুষ পালিয়ে এলেও তারা আশ্রয় দিতে পারবে না।
গত রোববার ট্রাম্প হঠাৎ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কারস্টেন নিলসেনের পদত্যাগের কথা ঘোষণা দেন। কারস্টেন দেশটিতে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমের মতে, ট্রাম্পের এই রদবদল দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্ত এলাকায় আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের ইঙ্গিত দেয়।