যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো মেনে নেননি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে চলছে উৎসব। বিশ্বনেতারা জো বাইডেনকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। তবে ট্রাম্প এখনো সুপ্রিম কোর্ট দেখাচ্ছেন। হোয়াইট হাউস থেকে বাইডেনের সঙ্গে এখন পর্যন্ত কোনো যোগাযোগ করা হয়নি।
জো বাইডেনের প্রচার উপদেষ্টা সাইমন স্যান্ডার্স জানান, স্থানীয় সময় গতকাল রোববার পর্যন্ত ট্রাম্প শিবির বা হোয়াইট হাউস থেকে জো বাইডেনের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। হোয়াইট হাউস থেকে বিজয়ীকে অভিনন্দন জানানোর প্রথা এবার আদৌ বজায় থাকবে কি না, নিশ্চিত করে সেটা কেউ বলতে পারছে না।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পরাজয় মেনে নিয়ে জো বাইডেনকে অভিনন্দন জানাবেন—এমন আশা করা যাচ্ছে না। বরং তিনি আইনি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন; সুপ্রিম কোর্টে যাবেন বলেও জানিয়েছেন। মনে হচ্ছে, তিনি পানি আরও কিছুটা ঘোলাটে করার চেষ্টা করবেন।
ট্রাম্পের হাতে আছে দুই মাসের আর কিছু বেশি সময়। এর মধ্যে তিনি প্রশাসনের কয়েকজনকে বরখাস্ত করতে পারেন। তাঁর সমর্থকদের খুশি করতে কিছু নির্বাহী আদেশও জারি করতে পারেন।
নির্বচনের পরদিন থেকে ট্রাম্প ওয়াশিংটন ডিসির অদূরে ভার্জিনিয়ায় তাঁর গলফ ক্লাবেই সময় কাটাচ্ছেন বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর–পূর্বাঞ্চলের অঙ্গরাজ্যগুলোয় এ সপ্তাহে উষ্ণ তাপমাত্রা বিরাজ করছে।
টুইটে ট্রাম্প তাঁর পুরোনো কথাই আবার বলেছেন। অভিযোগ ছাড়াই তিনি ভোট জালিয়াতি ও কারচুপির কথা বলেছেন।
সাউথ ক্যারোলাইনা থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসম্যান জেমস ক্লাইবার্ন বলেছেন, একজন ব্যক্তির চেয়ে দেশ অনেক বড়। গণতন্ত্র এখন হুমকির সম্মুখীন বলে তিনি রিপাবলিকান পার্টিকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী নিউ জার্সির সাবেক গভর্নর ক্রিস ক্রিস্টি। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্কের জন্য প্রস্তুতি নিতে সহযোগিতা করেছিলেন তিনি। ক্রিস ক্রিসটি বলেছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে এখনই কথা বলা উচিত। ভোট জালিয়াতির তথ্য দেখাতে বলা উচিত। ক্রিস ক্রিস্টি আরও বলেছেন, কোনো প্রমাণ ছাড়া জালিয়াতির অভিযোগ নিয়ে দলের এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
স্যাম নানবার্গ ২০১৬ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছিলেন। তিনি বলেছেন, কোথাও কোনো ভোট জালিয়াতি বা কারচুপি হয়েছে কি না, তা তলিয়ে দেখা যেতে পারে। যদিও এর মাধ্যমে ফলাফলের হয়তো কোনো পরিবর্তন আসবে না।
রিপাবলিকান ভাষ্যকার কার্ল রোভ জর্জ বুশের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। কার্ল রোভ বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর আইনগত অধিকার নিয়ে লড়াই করতে পারেন, যদি তাঁর কাছে কোনো প্রমাণ থাকে।
রিপাবলিকান পার্টির সিনেটর মিট রমনি বলেছেন, কোনো এক রাতে ট্রাম্প নীরবে বিদায় নেবেন—এমন মনে করার কোনো কারণ নেই। মিট রমনি আরও বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন কাজ করার লোক নন।