ইউক্রেন সংকট নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে ‘নীতিগতভাবে’ সম্মত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আজ সোমবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকটির প্রস্তাবক ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করার বিষয়ে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছেন বলে আজ ফরাসি প্রেসিডেন্টের দপ্তর জানিয়েছে।
তবে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাশিয়া যদি তার প্রতিবেশী ইউক্রেনকে আক্রমণ না করে, তবেই কেবল বৈঠকটি হতে পারে। ফরাসি প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বিবৃতিতেও এ শর্তের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
কয়েক দশকের মধ্যে ইউরোপের সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা সংকটের একটি সম্ভাব্য কূটনৈতিক সমাধান এ বৈঠক থেকে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাইডেন ও পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন মাখোঁ। তিনি ইউক্রেন সংকট নিয়ে বাইডেন ও পুতিনের মধ্যে বৈঠকের প্রস্তাব দেন। বাইডেন ও পুতিন উভয়ই বৈঠকের প্রস্তাবটি নীতিগতভাবে গ্রহণ করেছেন।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, দুই নেতার মধ্যকার বৈঠকে ইউরোপের নিরাপত্তা ও কৌশলগত স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা হবে।
বৈঠক আয়োজনের প্রস্তুতি আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে শুরু হবে। এ বিষয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ নিজেদের মধ্যে বৈঠক করবেন। এ বৈঠকের সময় তাঁরা বাইডেন ও পুতিনের মধ্যকার শীর্ষ বৈঠকের ক্ষেত্র প্রস্তুত করবেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, গোয়েন্দা তথ্য ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করতে রাশিয়া প্রস্তুত। রাশিয়া যেকোনো সময় ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে।
তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে এমন দাবি অস্বীকার করা হচ্ছে। মস্কোর ভাষ্য, সামরিক মহড়ার অংশ হিসেবে তারা সীমান্তে সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে। যুদ্ধ বাধানোর কোনো ইচ্ছা মস্কোর নেই।