দীর্ঘায়ু পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রায় সব মানুষেরই রয়েছে। বিজ্ঞানীরাও তাই যুগ যুগ ধরে এ নিয়ে গবেষণা করে চলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, মানুষের আয়ু বাড়ানোর পথ তাঁরা সম্ভবত খুঁজে পেয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বয়সবিষয়ক বিজ্ঞান সাময়িকী জার্নাল অব জেরোনটলোজি গত শুক্রবার এ-সংক্রান্ত একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। গবেষণাটি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ইউএসসি ডর্নসিফ কলেজ অব লেটারস, আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের একদল গবেষক।
গবেষণা নিবন্ধে দাবি করা হয়, মিফেপ্রিস্টোন নামের একধরনের ওষুধ ব্যবহার করে গবেষকেরা দুটি ভিন্ন প্রজাতির প্রাণীতে আয়ু বাড়ার আভাস পেয়েছেন। কাজেই এর থেকে মানুষও উপকার পেতে পারে বলে তাঁরা প্রত্যাশা করছেন।
গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন ইউএসসি ডর্নসিফ কলেজ অব লেটারস, আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক জন টাওয়ার। তিনি ও তাঁর দল ড্রসোফিলা প্রজাতির নারী মাছি ও কেঁচো কৃমির ওপর ওষুধটি প্রয়োগ করেছেন। উভয় প্রজাতির ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, যেসব নারী মাছি ও কৃমির শরীরে ওষুধটি প্রয়োগ করা হয়েছে, সেগুলো অন্যগুলোর তুলনায় বেশি আয়ু পেয়েছে।
এ ব্যাপারে জন টাওয়ার নিউজ মেডিকেল নামের চিকিৎসাবিজ্ঞানবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটকে বলেন, মাছি ও কৃমির ক্ষেত্রে মেফিপ্রিস্টোন প্রজননক্রিয়া কমিয়েছে। সহজাত রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থায় কিছুটা পরিবর্তন এনেছে। এসব প্রাণীর আয়ুও বেড়েছে। মানুষের ক্ষেত্রেও যে নারীরা ওষুধটি গ্রহণ করেন, তাঁর প্রজনন ক্রিয়া কমে, সহজাত রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসে। এটুকু বলেই টাওয়ার প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, ‘তাহলে কী এই ওষুধ মানুষেরও আয়ু বাড়াবে? হয়তো।’