কবি শহীদ কাদরীর ৭৯তম জন্মদিনে ১৪ আগস্ট নিউইয়র্কে উদ্যাপিত হয়েছে ‘একটি শহীদ কাদরী সন্ধ্যা’।
করোনা পরিস্থিতির কারণে সীমিত অতিথি নিয়ে কবির পারসন্স বুলেভার্দের বাসায় ঘরোয়া পরিসরে এ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়। কবির তরুণ বন্ধু এজাজ আলম, প্রতাপ দাস ও আরিফ মাহমুদ শৈবালের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আলাপচারিতা, স্মৃতিচারণ, কবিতা পাঠ ও সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে কবিকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
আলাপচারিতার প্রথম পর্ব ‘শহীদ ভাই’য়ে অংশ নেন—আদনান সৈয়দ, মোশাররফ হোসেন, মঞ্জুর কাদের, শাহেদ চৌধুরী, প্রতাপ দাস ও এজাজ আলম। পর্ব পরিকল্পনা ও সঞ্চালনা করেন আরিফ মাহমুদ শৈবাল। দ্বিতীয় পর্বে কবিকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন কবিপত্নী নীরা কাদরী। এই পর্বে আরও আলোচনা করেন আমর আশরাফ ও শিরীন রহমান।
আলোচনায় বক্তারা কবির সঙ্গে ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণের পাশাপাশি তাঁর সাহিত্য চর্চা, প্রজ্ঞা, পাঠাভ্যাস এবং অনুপ্রেরণা প্রদান ইত্যাদি বিষয়ে আলোকপাত করেন।
তৃতীয় পর্ব ‘কবি ও কবিতা’য় আবৃত্তি শিল্পীরা শহীদ কাদরীর কবিতা থেকে আবৃত্তি করেন। পাশাপাশি কবির পছন্দের ও অন্যান্য কবিদের রচিত কিছু বাছাই কবিতাও আবৃত্তি করা হয়।
আলোচনায় বক্তারা কবির সঙ্গে ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণের পাশাপাশি তাঁর সাহিত্য চর্চা, প্রজ্ঞা, পাঠাভ্যাস এবং অনুপ্রেরণা প্রদান ইত্যাদি বিষয়ে আলোকপাত করেন
কবিতার তালিকায় ছিল কবি শহীদ কাদরীর ‘তাই এই দীর্ঘ পরবাস’, ‘সঙ্গতি’, ‘বৃষ্টি বৃষ্টি’, ‘জতুগৃহ’, ‘সব নদী ঘরে ফেরে’ ইত্যাদি। অন্য কবিদের রচিত বাছাই কবিতার মধ্যে ছিল ‘শাশ্বতী’ (সুধীন্দ্রনাথ দত্ত), ‘নস্টালজিয়া’ (বুদ্ধদেব বসু), ‘সঙ্গতি’ (অমিয় চক্রবর্তী), ‘রূপালী স্নান’ (শামসুর রাহমান) ইত্যাদি। আবৃত্তিতে অংশ নেন গার্গী মুখার্জী, শিরীন বকুল, হোসেন শাহরিয়ার, মিজানুর রহমান, পারভীন সুলতানা ও এজাজ আলম। কবিতা পর্বটি পরিচালনা করেন প্রতাপ দাস।
আবৃত্তি পর্ব শেষে আহমাদ মাযহারের তাৎক্ষণিক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উঠে আসে শহীদ কাদরীর সাহিত্য কর্ম নিয়ে অপরাপর কবি ও সাহিত্যিকদের সাহিত্য প্রয়াস, যেমন আবদুল মান্নান সৈয়দ রচিত বই ও প্রবন্ধের কথা।
অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করেন গোলাম সারোয়ার ও দিঠি হাসনাত। তাঁরা কবি শহীদ কাদরীর প্রিয় রবীন্দ্র সংগীত যেমন, ‘তোমায় গান শোনাব’ ও ‘কোলাহল তো বারণ হলো’ ইত্যাদি গেয়ে শোনান। গানের এ পর্বটি সঞ্চালনা করেন এজাজ আলম।