বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১০টি দেশের খাবার নিয়ে কানসাস রাজ্যের উচিটা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘আন্তদেশীয় খাদ্য উৎসব ২০১৯’। ২৭ মার্চ এই উৎসবের আয়োজন করা হয়।
উৎসবে বিরিয়ানি, শিঙারা, চপ, ম্যাঙ্গো লাচ্ছি নিয়ে স্বল্প পরিসরে বাংলাদেশের খাবার নিমেষে শেষ হয়ে যায়। প্রতি বছরের মতো এবারও আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র পরিষদ এই উৎসবের আয়োজন করে।
বসন্তের মিষ্টি রোদে ১০ দেশের নানা পদের মুখরোচক খাবারের গন্ধে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মুখর হয়ে উঠেছিল। এর মধ্যে বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার যেন উপস্থিত সবার মন কাড়ে। বেলা ১১টায় উচিটা বিশ্ববিদ্যালয়ে হাভার্ড হলের সামনের সবুজ আঙিনায় স্টলগুলোতে সাজানো হয় খাবার। খাবার কেনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট নিতে দেখা যায়। বাংলাদেশ, জাপান, ভারত, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, শ্রীলঙ্কা, সৌদি আরব, নেপাল, ফিলিস্তিন, মালয়েশিয়া এই উৎসবে অংশ নেয়। প্রতিটি দেশের স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এসব দেশীয় খাবার তৈরি করে স্টল সাজিয়ে বসেছিলেন।
জাপানের ইয়াকিসোবা ডিশ, ভারতীয় ডিশ বিরিয়ানি-পাইনআপেল পুডিং, খিচুড়ি, পাকিস্তানের চিকেন টিক্কা স্যান্ডুইচ, নিকারাগুয়ার জুয়লফ রাইস, শ্রীলঙ্কার কোটো ডিশ, সৌদি আরবের অ্যারাবিক গ্যারেপ লিপস-চিজ অ্যান্ড মিট পেস্তুরি, মালয়েশিয়ার আইসক্রিম-মিনিকারি পাফ, নেপালের মোম-ছোলিয়া ডিশ, ফিলিস্তিনের আল-আব্বাস চিকেন কম্বো, চিকেন শর্মা, স্ট্রবেরি, নারিকেলের চকলেট, কেকসহ রকমারি আয়োজন সবার নজর কেড়েছে।
বাংলার এতিহ্যবাহী খাবার ঢাকাইয়া বিরিয়ানি, চপ সঙ্গে ফ্রি ম্যাঙ্গো লাচ্ছি সবাইকে মুগ্ধ করেছে। বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা এসব দেশীয় আমেজের খাবার তৈরি করেছেন। প্রতি প্যাকেট পাঁচ ডলারে বিভিন্ন দেশের স্টুডেন্টরা বাংলাদেশি খাবার নিতে ভোলেননি।
বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তানিয়া হক বলেন, ‘খাবার উৎসবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ঐতিহ্য তুলে ধরাই ছিল আমাদের উদ্দেশ্য। বিদেশের মাটিতে পড়াশোনার পাশাপাশি খাদ্য উৎসব ক্যাম্পাসে নতুন-পুরোনো ছাত্রদের সম্মিলনে পরিণত হয়।
সদ্য কানসাস রাজ্যের উচিটা শহরে আসা তরুণ ছাত্র সাদমান বলেন, ডাইভার্সিটি কালচারের দেশ আমেরিকা। এতে সব মানুষের খাদ্যাভ্যাস ও রুচির ভিন্নতার কারণে পৃথিবীর সব মুখরোচক খাবারের সবাই স্বাদ নিতে চাই। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের জুড়ি নেই।