ঈশ্বর আমাদের পক্ষে: ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

ইরানের কমান্ডার মেজর জেনারেল কাশেম সোলাইমানিকে হত্যার পর গত শুক্রবার নির্বাচনী প্রচারাভিযানে নামেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে শুক্রবার মায়ামিতে নির্বাচনী প্রচারাভিযানে ট্রাম্প ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি সত্যিকার অর্থেই মনে করি, ঈশ্বর আমাদের পক্ষে আছেন।’

শুক্রবার ইরাকে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হন ইরানের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি কাশেম সোলাইমানি। এ দিনই চলতি বছরের প্রথম নির্বাচনী প্রচারাভিযান শুরু করেন ট্রাম্প। মায়ামিতে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বী, বিশেষত ইভ্যানজেলিকল খ্রিষ্টানদের ঘাঁটিতে গিয়ে তিনি নিজেকে ধর্মের পুনরুদ্ধারকারী হিসেবে উপস্থাপন করেন। এ সময় কয়েকজন যাজকও তাঁর সঙ্গে ছিলেন।

প্রসঙ্গত, মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে সম্প্রতি অভিশংসিত হয়েছেন ট্রাম্প। উচ্চকক্ষ সিনেটেও তাঁর বিরুদ্ধে অভিশংসন শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এমন একটা সময়ে ইভ্যানজেলিকল খ্রিষ্টানদের পত্রিকা ক্রিসটিয়ানিটি টুডেতে ট্রাম্পের সমালোচনা করে সম্পাদকীয় ছাপা হয়। ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউস ছাড়া করার আহ্বান জানানো হয় এতে। এরই প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প তাঁর মায়ামির সমাবেশে ক্রিসটিয়ানিটি টুডের প্রতিষ্ঠাতা বিলিগ্রাহামের নাতনি কিসি গ্রাহাম লিঞ্চকে নিয়ে মঞ্চে হাজির হন। এ সময় কিসি গ্রাহাম লিঞ্চ ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হতে সব ধরনের সহযোগিতা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলের হয়ে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থিতায় আগ্রহী কয়েকজন কাশেম সোলাইমানিকে হত্যায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন। ট্রাম্পের বেপরোয়া এই সিদ্ধান্তে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র আরেক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে বলেও কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন।

ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকা জো বাইডেন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বারুদবাক্সে একটি বিস্ফোরকের কাঠি ছুড়ে মেরেছেন। সাবেক এই ভাইস প্রেসিডেন্টের প্রচারশিবির অনলাইনে ৩০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ছেড়েছে। এতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শাসনামলকে ‘অসাবধানী, অস্থিতিশীল’ এবং তাঁর চেয়ে বাইডেনের ওপর বিশ্ববাসীর আস্থা বেশি বলে উপস্থাপন করা হয়েছে।

ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে আগ্রহী মার্কিন সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন বলেছেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে আমরা। দুর্ভাগ্যক্রমে এখানে আমরা নই। আমরা এখানে, এর কারণ হলো বেপরোয়া এক প্রেসিডেন্ট, তাঁর মিত্র ও প্রশাসন কয়েক বছর ধরে আমাদের এখানে নিয়ে এসেছে।’

 ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা চলছে প্রায় ৪০ বছর ধরে। এখন কাশেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার ঘটনায় এই দুই দেশের উত্তেজনা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।