করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে স্থগিত হয়ে আছে ইমিগ্রেশনের অসংখ্য আবেদন। অ্যাসাইলাম আবেদনকারীসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে কয়েক লাখ ইমিগ্রেশন নিষ্পত্তির মামলা ঝুলে আছে। নির্বাহী আদেশে ৬০ দিনের জন্য মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকার কথা রয়েছে। কিন্তু এ আদেশ আরও বর্ধিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবেদনকারীরা। এতে মামলাজট ও মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে অনেক সময় ক্ষেপণ হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।
গত এপ্রিল মাসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ নির্বাহী আদেশ দেন। নির্বাহী আদেশের পরিপেক্ষিতে কাগজপত্রহীন ব্যক্তিদের মামলার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। এমনই একজন আবেদনকারী ইলিয়াস আলী বলেন, ‘ইমিগ্রেশনে আমার অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল গত মে মাসের প্রথম সপ্তাহে। কিন্তু তা বাতিল হয়ে গেছে। নতুন করে করে আমার এখনো অ্যাপয়েমেন্ট আসেনি। কখন অ্যাপয়েন্টমেন্ট আসবে, এ নিয়ে দুচিন্তায় আছি।’
অপর আবেদনকারী ওমর ফারুক বলেন, ‘আমার ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার জন্য কয়েক মাস আগে আবেদন করেছি। করোনাভাইরাস ও প্রেসিডেন্টের আদেশের কারণে আবেদন নিষ্পত্তি আটকে গেছে। জানি না আবার কত দিন পর অ্যাপয়েন্টমেন্ট আসবে।’
দ্বিতীয় ধাপে আরেকটি নির্বাহী আদেশ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে সিএনএন-এর একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইমিগ্রেশন ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে তাঁর রক্ষণশীল ভিত্তিকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস নিচ্ছেন। আগামী নির্বাচনে নানামুখী চাপে থাকা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে সহজ অস্ত্র হয়ে উঠেছে ইমিগ্রেশন। ইমিগ্রেশন নিয়ন্ত্রণের জন্য তিনি আগে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়েছেন, আমেরিকার কর্মীদের কাজের ক্ষেত্র বৃদ্ধির কথা বলেছেন। এবার করোনা বিপর্যয়কে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে তৎপর হয়েছেন আরেক দফা খড়্গ চালানোর জন্য।
বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে কাজের জন্য অভিবাসীদের ভিসা দেওয়া হতো। এসব ভিসা ক্যাটাগরি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চলছে। বর্তমানে দেশের ভেতর নাগরিকদের কর্মসংস্থানের কথা বলে অভিবাসীদের জন্য এল-১ ভিসা, এইচ ১ বি, এইচ ২ বি সাময়িকভাবে স্থগিত করার বিষয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।