করোনাভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউনের এই সময়ে টিএলসি ইনস্যুরেন্স বাতিলের নোটিশ পেয়েছেন নিউইয়র্ক নগরের কয়েক হাজার ট্যাক্সি ক্যাবচালক। ইনস্যুরেন্স বাতিল হলে চালাতে পারবেন না গাড়ি, উল্টো জরিমানার অর্থ গুনতে হবে তাঁদের। ফলে হাজার হাজার ক্যাবচালক নোটিশ পেয়ে চরম আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠায় দিনাতিপাত করছেন। এদিকে লকডাউনের মধ্যে কোন ইনস্যুরেন্স বাতিল হবে না বলে জানিয়েছেন ট্যাক্সি ওয়ার্কার্স অ্যালায়েন্স কর্মকর্তা টিপু সুলতান।
জ্যাকসন হাইটসের বাংলাদেশি আমেরিকান অধ্যুষিত একটি ইনস্যুরেন্স ব্রোকারেজ কোম্পানি ৩ মে থেকে কয়েক হাজার ক্যাবচালকেদের ভয়েস মেইলের মাধ্যমে ইনস্যুরেন্স বাতিল এবং ডিপোজিট দেওয়ার ব্যাপারে নোটিশ দিয়েছে। নোটিশ পেয়ে ক্যাবিদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্যাবচালকদের তেমন আয়-রোজগার নেই। বেশির ভাগ ক্যাবচালক ঘরে বসেই দিন কাটাচ্ছেন। তারা আনএমপ্লয়মেন্ট ফাইল করলেও বেশির ভাগ চালক এখনো ভাতা পাচ্ছেন না বলে জানা গেছে। এমন সময়ে বিল প্রদানের নোটিশ পেয়ে কী করবেন, তা বুঝে উঠতে পারছে না তারা।
ট্যাক্সি ওয়ার্কার্স অ্যালায়েন্স কর্মকর্তা টিপু সুলতান বলেন, লকডাউনের মধ্যে বিল চাওয়া সম্পূর্ণ অনৈতিক। এ সময়ে যেসব ক্যাবচালক কাজ ও বিল দিতে পারবেন না, তারা ৯০ দিনের জন্য গাড়ির লাইসেন্স প্লেট স্টোরেজ করতে পারবেন। লাইসেন্স প্লেট স্টোরেজ করলে গাড়ির ইনস্যুরেন্স পে করতে হবে না।
ক্যাবচালক মো. রফিক বলেন, ‘আমার গাড়ির লাইসেন্স প্লেট ৯০ দিনের জন্য স্টোরেজ করেছি। আমি কোন বিল দিতে পারব না। কিন্তু তার ইনস্যুরেন্স ব্রোকারেজ জানান, তাকে বিল দিতে হবে। আমি টিএলসির নির্দেশনা অনুযায়ী লাইসেন্স প্লেট স্টোরেজ করেছি। প্রয়োজনে আমি আদালতে বিষয়টি উপস্থাপন করব।
লকডাউনের মধ্যে বিল প্রদান বিষয়ে মেগা ইনস্যুরেন্স ব্রোকারেজের সিইও রাজীব আহমেদের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্যাবিদের করণীয় সম্পর্কে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইনস্যুরেন্স কোম্পানিগুলো লকডাউনের মধ্যে বিল প্রদান স্থগিত করেছে। লকডাউন খুললে তারা বিল প্রদান করতে পারবেন। এ ছাড়া বকেয়া যারা একসঙ্গে দিতে পারবেন না, তারা কিস্তি করে বিল পরিশোধ করতে পারবেন।
উবার চালক মোহাম্মদ হক বলেন, আমি অসুস্থ, লকডাউনের মধ্যে একেবারেই ঘর থেকে বের হওয়ার সাহস করতে পারছি না। সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ কোম্পানির বিল প্রদানের ভয়েস মেইল নোটিশ পেয়ে কী করব বুঝে উঠতে পারছি না।