মহান স্বাধীনতা দিবসে অনন্য অবদানের জন্য সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মিরসরাই সমিতি ইউএসএ ইন্ক সংবর্ধনা দিয়েছে।
৪ মে রকওয়ের একটি পার্টি হলে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি আমজাদ হোসেন ভূঁইয়া। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক রবিউল ভূঁইয়া।
সমিতির সাবেক প্রধান উপদেষ্টা আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধসহ দেশ গঠনে মোশাররফ হোসেনের অবদান বলে শেষ করা যাবে না। তাঁর কর্মে মিরসরাইবাসী গর্বিত। আমরা মিরসরাইবাসীর পক্ষ থেকে তাঁর সর্বোচ্চ সম্মান চাই।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আবাস উদ্দিন, আশরাফ আলী খান লিটন, আরিফুল হাসান আরিফ, লিখন, আহমেদ হোসেন মুন্না, ইকবাল হায়দার চৌধুরী, আসিফুর রহমান, সোবাহান শিবলু আনোয়ার, পারভেজ রেজাউল করিম, ডা. রেজাউল করিম শামীম, উপদেষ্টা মিজানুর রহমান জাহাঙ্গীর, ফয়জুল কবির, আবুল কাশেম ভূঁইয়া, ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলম, রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রাম জোনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আনোয়ার চৌধুরী বাহার, কাউন্সিলর আয়েশা হক।
অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের ভূঁইয়া, মুক্তিযোদ্ধা ড. জাহাঙ্গীর আলম, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম সামদানি, মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হককে সম্মাননা জানানো হয়। প্রধান অতিথি মোশাররফ হোসেনের কাছ থেকে তাঁরা সম্মাননা গ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যদি জন্মগ্রহণ না করতেন তাহলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। আমাকে আপনারা সম্মানিত করে গোটা মিরসরাইবাসীকে সম্মানিত করেছেন। আমি স্বাধীনতা পদক মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছি এবং প্রাপ্ত অর্থ প্রতিবন্ধীদের মধ্যে বিতরণ করে দিয়েছি।
মিরসরাই উন্নয়ন প্রসঙ্গে মোশাররফ হোসেন বলেন, মিরসরাইয়ে সামগ্রিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় অর্থনৈতিক অঞ্চল মুহুরী এলাকায় স্থাপিত হয়েছে। ৩০ হাজার একর জমির ওপরে এ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপিত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে যোগ্যতা থাকলে মিরসরাইবাসীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। যেকোনো প্রবাসী বিনিয়োগ করতে চাইলে সানন্দে তাদের অভিবাদন জানাব এবং সার্বিক সহযোগিতা করব। তিনি আরও বলেন, যাতায়াতের ক্ষেত্রে মিরসরাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন সড়ক তৈরি করা হবে। এটি তৈরি হওয়ার পর এ অঞ্চলে বিনিয়োগ আগ্রহীরা সহজেই বিনিয়োগ করবে। এতে করে আরও উন্নয়নের পথ তৈরি হবে। আগামী দুই তিন বছরের মধ্যে মিরসরাইয়ের আঞ্চলিক সড়কগুলো মেরামত ও কাঁচা সড়ক গুলো পাকা করা হবে।