আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা দখল করার পর জঙ্গিগোষ্ঠী দ্রুত শক্তি অর্জন করতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে পেন্টাগন। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অস্টিন লয়েড এ নিয়ে আইনপ্রণেতাদের ধারণা দিতে চেষ্টা করেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন।
আইনপ্রণেতারা বলছেন, আফগানিস্তান তালেবানের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর তালেবান–সমর্থিত আল কায়দা ও ইসলামিক স্টেট নামের জঙ্গি দল পুনর্গঠিত হচ্ছে। তবে জন কিরবি বলেছেন, এখনই বলা যাচ্ছে না এ ধরনের জঙ্গিগোষ্ঠী কতটা দ্রুত পুনর্গঠিত ও ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারবে।
আফগানিস্তানে মার্কিন সমর সরঞ্জাম সহজেই তালেবানের হাতে চলে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আধুনিক এসব মার্কিন অস্ত্র, গোলাবারুদ তালেবানসহ অন্য জঙ্গিগোষ্ঠীর হাত থেকে রক্ষা করার কোনো উপায় আছে কি না, এ নিয়ে উৎকণ্ঠিত মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম পলিটিকো তাদের এ–সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলেছে, কাবুলের পতনের পর জঙ্গিগোষ্ঠী আগের ধারণার চেয়ে দ্রুততার সঙ্গে সংগঠিত হচ্ছে। এ নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তাদের এখন সতর্ক থাকতে হচ্ছে। জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান মার্ক মাইলি গত রোববার মার্কিন সিনেটরদের সঙ্গে এক সভায় আফগানিস্তানে জঙ্গিগোষ্ঠীর উত্থান নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য পুনর্মূল্যায়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।
আফগানিস্তানে আমেরিকার যুদ্ধবিমান, ভারী অস্ত্রসহ আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জামের বিপুল ভান্ডার রয়েছে। এ ছাড়া মার্কিন–সমর্থক আফগান সরকারের সেনাবাহিনী ও পুলিশের কাছে থাকা মার্কিন সব অস্ত্র জঙ্গি দলের কাছে সহজেই চলে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের লজিস্টিক বিশেষজ্ঞ জেনারেল হানক টেইলরকে এ নিয়ে প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক। প্রশ্নের জবাবে প্রতিরক্ষা বিভাগের এই জেনারেল জানিয়েছেন, দলের হাত থেকে মার্কিন সমর সরঞ্জাম রক্ষা করার কোনো পরিকল্পনা আদৌ আছে কি না, এ নিয়ে কোনো তথ্য তার জানা নেই।
আফগানিস্তানে মার্কিন–সমর্থক সরকারের সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলার জন্য আমেরিকা ৮ হাজার ২০০ কোটি ডলার ব্যয় করেছিল। প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, অর্থ দিয়ে সবকিছু অর্জন করা সম্ভব হয় না।