গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় বেরিলের প্রভাবে গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্ব টেক্সাসে ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী বর্ষণ হয়। এতে অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে বিভিন্ন মহাসড়ক। বন্ধ হয়ে গেছে জ্বালানি তেল পরিবহনে ব্যবহৃত বন্দরগুলো। বাতিল হয়েছে ১ হাজার ৩০০টির বেশি ফ্লাইট। বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ২৭ লাখের বেশি মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ইউএস ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানায়, হারিকেন বেরিলকে আটলান্টিক মহাসাগরে চলতি মৌসুমের প্রথম পাঁচ মাত্রার (অতি বিপজ্জনক) হারিকেন হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। টেক্সাসের উপকূলীয় শহর মাতাগার্দায় আঘাত আনার পর এটি কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে। এর প্রভাবে ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি উপকূলে আছড়ে পড়ে বিশালাকৃতির ঢেউ। এরপর হুস্টনে আঘাত করে বেরিল। এ পরিস্থিতি টেক্সাস, লুইজিয়ানা ও আরকান্সে টর্নেডোয় রূপ নিতে পারে।
টেক্সাসের লেফটেন্যান্ট গভর্নর ড্যান প্যাট্রিক বলেন, গতকাল হুস্টনে পৃথক ঘটনায় ঘরের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে ৫৩ বছরের এক বৃদ্ধ ও ৭৪ বছরের এক বৃদ্ধা চাপা পড়ে মারা যান। এ ছাড়া পাতালপথ দিয়ে কাজে যাওয়ার সময় পানিতে ডুবে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
জ্বালানি ও গ্যাস উত্তোলনে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় অঙ্গরাজ্য টেক্সাস। বেরিলের প্রভাবে সেখানে জ্বালানি তেল পরিশোধন ধীর হয়ে পড়েছে। কিছু উৎপাদনকেন্দ্র থেকে লোকজন সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
টেক্সাস পাবলিক ইউটিলিটি কমিশনের চেয়ার থমাস গ্লিসন বলেন, উদ্ধারকর্মীরা এখনো উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যায়নি। এখনো তীব্র ঝোড়ো হাওয়া বইছে। বিদ্যুৎ–সংযোগ ঠিক হতে আরও কয়েক দিন সময় লেগে যেতে পারে।
টেক্সাসের জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান নিম কিড বলেন, জরুরি পরিস্থিতিতে উদ্ধারকাজে অংশ নিতে অঙ্গরাজ্যজুড়ে আড়াই হাজারের বেশি মানুষকে নিয়োগ করা হয়েছে।
বাইডেন প্রশাসন জানায়, কেন্দ্রীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা (এফইএমএ) ও যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের সদস্যরা তল্লাশি ও উদ্ধারকাজে সহায়তা করছেন। এ ছাড়া খাবার, পানি ও জেনারেটর নিয়ে প্রস্তুত আছে এফইএমএ।