পেঙ্গুইন স্ফেন (বামে) ও ম্যাজিক (ডানে)
পেঙ্গুইন স্ফেন (বামে) ও ম্যাজিক (ডানে)

অস্ট্রেলিয়ায় সমলিঙ্গের পেঙ্গুইন জুটির একটির মৃত্যু

অস্ট্রেলিয়ায় আলোচিত সমলিঙ্গের পেঙ্গুইন জুটির একটি সঙ্গীর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সিডনি অ্যাকুরিয়াম কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। এ পেঙ্গুইন জুটি সিডনি অ্যাকুরিয়াম কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে ছিল। এ সমলিঙ্গের পেঙ্গুইন জুটিটি বাচ্চা ফোটাতে সহযোগিতা করত।

২০১৮ সালে পুরুষ পেঙ্গুইন স্ফেন এবং ম্যাজিক শুরুতে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের মনোযোগ কেড়ে নিয়েছিল। পরে তারা বিশ্বেরও মনোযোগ আকর্ষণ করে। তখন এ পেঙ্গুইন জুটি একসঙ্গে নুড়ি দিয়ে একটি বাসা তৈরি করেছিল।

স্ফেন এবং ম্যাজিক সাধারণত অন্য পেঙ্গুইন জুটির ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফুটানোর কাজে সহযোগিতা করত। তারা ২০১৮ সালে স্ফেনজিক নামে একটি এবং দুই বছর পরে ক্লানসি নামে একটি বাচ্চা ফুটিয়েছে।

সি লাইফ সিডনি অ্যাকুয়ারিয়াম কর্তৃপক্ষ বলেছে, সমলিঙ্গের পেঙ্গুইন জুটির সবচেয়ে বয়স্ক সঙ্গী স্ফেন মারা গেছে। তার বয়স প্রায় ১২ বছর ছিল। চিড়িয়াখানায় থাকা পেঙ্গুইনের জন্য এটি দীর্ঘজীবন।

স্ফেন এবং ম্যাজিককে অস্ট্রেলিয়ায় এমনকি বিদেশে গে হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে কেউ কেউ এ জুটির সমালোচনাও করতো। রক্ষণশীলদের কেউ কেউ বলেন, একটি রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে পেঙ্গুইনগুলোকে ব্যবহার করা হয়।

সন্তান লালনপালনের ক্ষেত্রে স্ত্রী ও পুরুষ পেঙ্গুইন মা–বাবা হিসেবে একই ভূমিকা পালন করে থাকে। তারা মা–বাবার দায়িত্বকে নিজেদের মধ্যে আধা আধা করে ভাগ করে নেয়।

পুরুষ ও স্ত্রী পেঙ্গুইন উভয়ের ক্ষেত্রে সমলিঙ্গের জুটি থাকার বিষয়টি একেবারেই যে শোনা যায় না, তা নয়। যদিও তারা বনে খুব অল্প সময়ই বাঁচে।

খাঁচাবন্দী কোনো সমলিঙ্গের পেঙ্গুইন জুটির ডিম ফুটানোর ঘটনা এটাই প্রথম নয়। বিশ্বজুড়ে হাতে গোনা কয়েকটি চিড়িয়াখানায় একই ধরনের ঘটনা দেখা গেছে।

২০০৯ সালে বার্লিনের চিড়িয়াখানায় জেড এবং ভিয়েলপুনকিত নামে দুটি পুরুষ পেঙ্গুইন সফলভাবে বাচ্চা ফুটিয়েছে এবং লালনপালন করেছে। বাচ্চাটির নিজের মা–বাবা তা করেনি।

এর আগে নিউইয়র্কের একটি চিড়িয়াখানায় রয় এবং সিলো নামে দুটি পুরুষ সমকামী পেঙ্গুইনকে শনাক্ত করা হয়।