কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা স্বয়ংক্রিয় কর্মব্যবস্থার কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন নারী, তরুণ ও কম বেতনের কর্মীরা।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) কারণে যুক্তরাজ্যের ৮০ লাখ মানুষের চাকরি হারানোর ঝুঁকি তৈরি হবে। যুক্তরাজ্যের ইনস্টিটিউট ফর পাবলিক পলিসি রিসার্চ (আইপিপিআর) নামের একটি গবেষণা সংস্থার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা স্বয়ংক্রিয় কর্মব্যবস্থার কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন নারী, তরুণ ও কম বেতনের কর্মীরা।
আইপিপিআরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চাকরির প্রথম ধাপ, খণ্ডকালীন চাকরি ও প্রশাসনিক কাজগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের ফলে বেশি ঝুঁকিতে পড়বে। তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়ে গেলে এ ধরনের বাজে পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।
যুক্তরাজ্যের গবেষণা সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, তাদের দেশ এমন একটি মুহূর্তের মুখোমুখি হয়েছে, যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন প্রোগ্রাম গ্রহণ করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ছে। এ ধরনের প্রোগ্রামগুলো বার্তা, তথ্য ও সফটওয়্যার কোডের মতো বিষয়গুলো তৈরি করতে পারে। এতে কর্মক্ষেত্রের দৈনন্দিন কাজের অনেক কিছু স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা সম্ভব।
আইপিপিআরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এআই গ্রহণের প্রথম ঢেউ এসে গেছে। এতে ইতিমধ্যে অনেক চাকরি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেছে। কারণ, অনেক কোম্পানি এআই ব্যবহার শুরু করেছে। এআই প্রযুক্তি আরও উন্নত হলে দ্বিতীয় ঢেউ আসন্ন। এতে স্বয়ংক্রিয় প্রোগ্রাম চালুর হার বাড়াবে প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে আরও অনেক চাকরি ঝুঁকিতে পড়ে যাবে।
আইপিপিআর বিভিন্ন ক্ষেত্রের ২২ হাজার চাকরি নিয়ে গবেষণা করে। তাতে দেখা গেছে, কর্মীরা যেসব কাজ করছেন, তার মধ্যে ১১ শতাংশই ঝুঁকির মুখে। এআই গ্রহণের দ্বিতীয় ঢেউ এলে ৫৯ শতাংশ চাকরি ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে।
বর্তমানে ডেটাবেজ ব্যবস্থাপনা, কর্মব্যবস্থাপনা ও মজুতকরণের মতো অনেক কাজ ঝুঁকির মুখে। এর সঙ্গে সাচিবিক কাজ, প্রশাসন এবং গ্রাহক পরিষেবার নানা কাজ ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এআই গ্রহণের দ্বিতীয় ঢেউ এলে ডেটাবেজ তৈরি, কপি লেখা, গ্রাফিকস তৈরির মতো কাজও ঝুঁকিতে পড়বে। এতে বেশি বেতনের কর্মীদের ওপরও প্রভাব পড়বে।
আইপিপিআরের তথ্য অনুযায়ী, এআই গ্রহণের ফলে বেশি প্রভাব পড়বে নারীদের জীবনে। অনেকেই সাচিবিক ও প্রশাসনিক কাজে যুক্ত। কিন্তু এআই তাঁদের জন্য ঝুঁকি তৈরি করবে।