বিশ্বে গত বছর ধনী মানুষের যে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে, তা আগে কখনোই দেখা যায়নি। সেই সঙ্গে শেয়ারবাজারে বুদ্ধিদীপ্ত বিনিয়োগে এ সময়ে তাঁদের সম্পদ রেকর্ড পরিমাণে বেড়ে গেছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণাটি করেছে ফরাসি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ক্যাপজেমিনি। আজ বুধবার এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে বিশ্বে ‘অতি সম্পদশালী ব্যক্তির’ (এইচএনডব্লিউআই) সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ৫ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২৮ লাখে। বিশ্বজুড়ে যাঁদের ন্যূনতম সম্পদের পরিমাণ ১০ লাখ ডলার, তাঁদের অতি সম্পদশালী ব্যক্তি হিসেবে ধরেছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক ওয়ার্ল্ড ওয়েলথ রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বে ২০২৩ সালে অতি সম্পদশালী ব্যক্তিদের সম্পদের সম্মিলিত পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় ৪ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ৮৬ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলার হয়েছে।
১৯৯৭ সাল থেকে প্রতিবছর অতি সম্পদশালী ব্যক্তিদের সংখ্যা ও তাঁদের সম্পদের পরিমাণ প্রকাশ করে আসছে ক্যাপজেমিনি। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বিশ্বে আগে কখনোই এত বেশিসংখ্যক অতি সম্পদশালী ব্যক্তি দেখা যায়নি। তাঁদের সম্মিলিত সম্পদের পরিমাণ আগে কখনোই এত বেশি ছিল না। এটাই সর্বোচ্চ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্পদের অংশ কমার কারণে গত এক দশকের মধ্যে অতি সম্পদশালী ব্যক্তিদের সম্পদের পরিমাণ তীব্রভাবে কমছিল। কিন্তু ২০২৩ সালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং প্রধান বিনিয়োগ খাতগুলোয় উর্ধ্বগামী প্রবণতা পরিস্থিতিকে পাল্টে দেয়। তাঁদের ভাগ্যকে সুপ্রসন্ন করে তোলে।
বিশ্বজুড়ে অতি সম্পদশালী ব্যক্তিদের সম্পদ এবং সেই সঙ্গে ক্রমবর্ধমানহারে বৈষম্য বৃদ্ধির বিষয়টি ধনীদের করের ন্যায্য অংশ দেওয়া নিয়ে বিদ্যমান বিতর্ককে উসকে দিয়েছে।
বিতর্ক ও সমালোচনার মধ্যেই ধনীদের নিজস্ব সম্পদের ওপর বৈশ্বিক ন্যূনতম কর বেঁধে দেওয়ার বিষয়ে শিল্পোন্নত ও বিকাশমান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-২০-এর সদস্যদের চাপ দিয়ে যাচ্ছে ব্রাজিল ও ফ্রান্স।