অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়াচ্ছে। কারণ, গতকাল রোববার লাতিন আমেরিকার দেশটিতে অনুষ্ঠিত প্রথম দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো প্রার্থী প্রয়োজনীয়সংখ্যক ভোট পাননি।
আর্জেন্টিনার নির্বাচন কর্তৃপক্ষ ন্যাশনাল ইলেক্টোরাল চেম্বারের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম দফায় ভোটদানের হার ছিল ৭৫ শতাংশ। ইতিমধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি ভোট গণনা করা হয়েছে।
প্রথম দফায় সর্বোচ্চসংখ্যক ভোট পেয়েছেন বামপন্থী প্রার্থী সার্জিও মাসা। তিনি ৩৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ পেয়েছেন।
ডানপন্থী প্রার্থী হাভিয়ের মাইলি দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন। তিনি পেয়েছেন ৩০ দশমিক ১৮ শতাংশ ভোট।
আরেক প্রার্থী প্যাট্রিসিয়া বুলরিচ তৃতীয় হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২৩ দশমিক ৮২ শতাংশ ভোট। গতকাল গভীর রাতেই তিনি তাঁর পরাজয় স্বীকার করে নেন।
নিয়ম অনুসারে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য একজন প্রার্থীকে অবশ্যই মোট ভোটের ৪৫ শতাংশের বেশি পেতে হবে। বিজয়ীকে অবশ্যই দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রার্থীর চেয়ে কমপক্ষে ১০ শতাংশ ভোটে এগিয়ে থাকতে হবে।
কোনো প্রার্থী প্রয়োজনীয়সংখ্যক ভোট পেতে ব্যর্থ হওয়ায় এখন আগামী ১৯ নভেম্বর আর্জেন্টিনায় দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে মাসা ও মাইলির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
আর্জেন্টিনার নতুন প্রেসিডেন্ট আগামী ডিসেম্বরে তাঁর কার্যভার গ্রহণ করবেন। দেশটির প্রেসিডেন্টের মেয়াদকাল চার বছর।
আর্জেন্টিনার বর্তমান অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব আছেন মাসা। তাঁর সময় আর্জেন্টিনা গত ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দেশটির মুদ্রাস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৮ শতাংশ। এ অবস্থায় দেশটির মানুষ জীবনযাত্রার ব্যয় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।