পেরুর দক্ষিণাঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকার একটি সোনার খনিতে আগুনে অন্তত ২৭ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। দেশটির কর্তৃপক্ষ গতকাল রোববার এ তথ্য জানায়।
দেশটির আরেকুইপা অঞ্চলের ‘লা এসপেরানজা ১’ নামের সোনার খনিতে গত শনিবার এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। একে দেশটির সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ খনি ট্র্যাজেডিগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
পেরুর পুলিশ ও পাবলিক প্রসিকিউটরের কার্যালয় বলেছে, খনির ভেতরের একটি সুড়ঙ্গে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত।
পাবলিক প্রসিকিউটর জিওভানি মাতোস চ্যানেল এন টেলিভিশনকে বলেন, এ ঘটনায় খনির ভেতরে ২৭ জন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, নিহত শ্রমিকেরা ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০০ মিটার নিচে খনির ভেতরে কাজ করছিলেন।
দুর্ঘটনাটি গত শনিবার ঘটলেও তার খবর সেদিন প্রকাশ করেনি দেশটির কর্তৃপক্ষ। নিহত ব্যক্তিদের বিস্তারিত তথ্য পুলিশ সংগ্রহ করার পর গতকাল খবরটি প্রকাশ করা হয়।
অগ্নিকাণ্ডের সময় খনিতে ঠিক কতজন শ্রমিক কাজ করছিলেন, সে সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শ্রমিকদের শোকার্ত স্বজনেরা খনি এলাকায় জড়ো হন। তাঁদের একজন মার্সেলিনা আগুয়েরে। তিনি তাঁর স্বামীর খোঁজ করছিলেন। আহাজারি করে তিনি বলেন, ‘কোথায় আছো প্রিয়তম, তুমি কোথায়?’
স্থানীয় মেয়র জেমস ক্যাসকুইনো একটি বার্তা সংস্থাকে বলেন, বেশির ভাগ খনিশ্রমিক শ্বাসরোধে ও পুড়ে মারা যেতে পারেন।
পেরুতে খনি–সংশ্লিষ্ট দুর্ঘটনায় ২০২২ সালে ৩৯ জন নিহত হন।